আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়েছে ‘অপারেশন সুন্দরবন’ সিনেমার অফিশিয়াল পোস্টার। ২৩ সেপ্টেম্বর সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে। এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর হবে প্রিমিয়ার।
রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে বৃহস্পতিবার বিকেলে পোস্টার উন্মোচন করেন আসাদুজ্জামান নূর, রিয়াজ, সিয়াম, নুসরাত ফারিয়া, রোশান ও র্যাবের কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এই আয়োজনে র্যাবের পক্ষ থেকে আসাদুজ্জামান নূরকে সম্মাননা স্মারক দেয়া হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে নূর বলেন, ‘সাধারণত এ রকম বিষয় নিয়ে তথ্যচিত্র হয়। তবে র্যাব যে এটা নিয়ে সিনেমা করার পরিকল্পনা করেছে তা খুবই প্রশংসনীয়। মানবিক ও পুনর্বাসন প্রকল্পের যে কথা শুনলাম সেটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘সুন্দরবন আমাদের অহংকার। কিন্তু এখানে মুঘল আমল থেকে ছিল দস্যুদের অভয়ারণ্য। আজ সুন্দরবন দস্যুমুক্ত হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে।
র্যাব ৫টি প্রক্রিয়ায় কাজটি করেছে। র্যাব সরাসরি অভিযান চালিয়েছে, বিশেষ সক্ষমতা অর্জন করেছে, গোয়েন্দা কার্যক্রম বাড়িয়েছে, স্থলভাগে দস্যুদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করেছে। ২০১৬ সালে দস্যুরা আত্মসমর্পণ শুরু করে। ২০১৮ সালে দস্যুদের ৩২টি বাহিনী আত্মসমর্পণ করে।
মঈন বলেন, ‘দস্যুরা চেয়েছিল স্বাভাবিক জীবন। আমরা সেটা করেছি। প্রধানমন্ত্রী অর্থ সহায়তা দিয়েছেন। সুন্দরবনের হাসি প্রকল্প চালু করেছি আমরা। সেখানে মেয়েদের সেলাই মেশিনের কাজ করানো হয়। ছেলেদের ড্রাইভিং শেখানো হয়েছে। দস্যুদের মোটিভেশনাল ক্লাস নিয়েছি, যেন পুনরায় তারা দস্যুতায় ফিরে না যায়।
‘আমরা স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এমপিদের সঙ্গে কথা বলেছি, যেন তাদেরকে সমাজ গ্রহণ করে। তাদের দোকান করে দেয়া হয়েছে, গবাদিপশু কিনে দেয়া হয়েছে, ঘর করে দেয়া হয়েছে।’
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন দীপঙ্কর দীপন। তিনি ৬ মাস সুন্দরবনে ছিলেন। থিসিস পেপার দিয়েছেন। তারপর কাজ শুরু হয়েছে বলে জানান মঈন।
অনুষ্ঠানে চিত্রনায়ক রিয়াজ বলেন, ‘সাড়ে ছয় বছর পর আমার অভিনীত সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। আমি যে ইউনিফর্ম পরে কাজ করেছি, তার সম্মান রাখার চেষ্টা করেছি।’
চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া বলেন, ‘২০১৯ সালে শেষ সিনেমা মুক্তি পায়। জাজ ছেড়ে দেয়ার পর সংশয়ে ছিলাম আর বড় কোনো সিনেমায় অভিনয় করতে পারব কি না। পারলাম র্যাবের কারণে। সবাইকে ধন্যবাদ। ৩৫ দিন কোনো যোগাযোগ ছিল না শুটিং করতে গিয়ে। এটাই আমার পরিবার ছিল। ভালো লাগছে।’
চিত্রনায়ক সিয়াম বলেন, ‘অনেকে জানতে চেয়েছেন- অপারেশন কি ডকুমেন্টারি হবে? তাদের বলি, এটা সম্পূর্ণ সিনেমা, পূর্ণাঙ্গ সিনেমা। সিনেমাটির কমিউনিকেশন ম্যাটেরিয়াল পেলে সবাই পরিষ্কার হয়ে যাবেন।’
রোশান বলেন, র্যাবের ইউনিফর্মটা আমার খুব ভালো লাগে আগে থেকেই। যখন সিনেমাটি করার প্রস্তাব পাই, আর দ্বিতীয়বার ভাবিনি। আমরা ট্রেনিং করেছি, কীভাবে অস্ত্র ধরতে হয়। নিজেকে রিয়েল অফিসার ভেবেই কাজ করেছি।’