সেলিম মোরশেদ রচিত ‘সুব্রত সেনগুপ্ত’ গল্প অবলম্বনে তারেক মাসুদের চিত্রনাট্যে তরুণ নির্মাতা আবীর ফেরদৌস মুখর নির্মাণ করেছেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সুব্রত সেনগুপ্ত।
নব্বই দশকের শেষের দিকে উপমহাদেশে যখন সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক পরিবর্তন চলতে থাকে তখন সেই অস্থিতিশীল সময়ে বেড়ে ওঠা এক নাম সুব্রত সেনগুপ্ত।
সেই সুব্রত সেনগুপ্তের জীবনের বিভিন্ন খণ্ডাংশ নিয়েই নির্মিত এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি।
‘সুব্রত সেনগুপ্ত’ গল্পটি আনওয়ার আহমেদের ‘রুপম’ পত্রিকায় আহমাদ মাযহারের উদ্যোগে প্রথম ছাপা হয়।
পরবর্তীতে তপন বড়ুয়া সম্পাদিত গাণ্ডীব ১৯৮৮ দ্বিতীয় সংখ্যায় গল্পটির পাশাপাশি তারেক মাসুদের চিত্রনাট্যটিও প্রকাশিত হয়। চিত্রনাট্যে ভাষার উৎকর্ষে ভূমিকা রাখেন কবি সাজ্জাদ শরিফ।
২৫ মিনিট ব্যাপ্তির এই গল্পে দেখা যাবে পরিবার, সমাজ, ধর্ম, প্রেম, রাজনীতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে গল্পের মূল চরিত্রের জীবনে প্রভাব ফেলে।
পরিচালক আবীর ফেরদৌস মুখর এর আগে আরও কিছু স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। সেগুলো কোনো না কোনো উৎসবে অংশ নিয়েছে। জিতেছে বেশ কিছু পুরস্কার।
এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে বেশ আশাবাদী নির্মাতা মুখর। তিনি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য হয়েছিল বেশ কিছুদিন তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টে কাজ করার। সেখান থেকেই তারেক স্যারের লেখা এই স্ক্রিপ্টটার সঙ্গে আমার পরিচয়। কাজটা করার অনুমতি দেয়ার জন্য আমি কৃতজ্ঞ ক্যাথরিন ম্যামের প্রতি। আমরা চেষ্টা করেছি মূল স্ক্রিপ্টের আবহকে বজার রেখে আমাদের মতন একটি রূপ দেবার।’
শুটিংয়ের সময় ‘সুব্রত সেনগুপ্ত’ চলচ্চিত্রের একটি দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
মুখর জানান, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন মনোরম স্থানে চলচ্চিত্রটির শুটিং হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে ক্রাউড ফান্ডিংয়ের মাধ্যমে এর ব্যয় বহন করেছেন তিনি।
সুব্রত সেনগুপ্ত-তে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন আহসান স্বরণ। সেই সঙ্গে দেখা যাবে আশিক সালেহীন, ফারিহা, আফরা, ফাহমিদ ফারাবী শাওনসহ আরও অনেকেই।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে।