সাইমন-মাহি জুটির নতুন সিনেমা লাইভ মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৯ সেপ্টেম্বর। অথচ সিনেমার প্রধান দুই অভিনয় শিল্পীর মন ভালো নেই। এ মন খারাপের কারণ লাইভ সিনেমার প্রচার না হওয়া।
সাইমন-মাহির দাবি, লাইভ সিনেমাটি ভালো হলেও তা প্রচার পাচ্ছে না। কী কারণে প্রচার হচ্ছে না, সে বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেননি।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি রেস্তোরাঁয় লাইভ সিনেমা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে সাইমন বলেন, ‘আনফরচুনেটলি প্রচারের জায়গায় আমরা অনেক পিছিয়ে আছি, সে জন্য আমার ভীষণ মন খারাপ।’
মাহি বলেন, ‘বিভিন্ন সমস্যার কারণে আমরা খুব একটা প্রচার করার সুযোগ পাচ্ছি না। আমার ফেসবুকে যতটুকু করার করছি। একটা ভালো সিনেমা সবার কাছে পৌঁছানো ভীষণ জরুরি।’
লাইভ সিনেমা নিয়ে সাইমন বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি, দর্শকের কথা মাথায় রেখে একটা সুন্দর কন্টেন করতে। সিনেমায় আমার চরিত্রের নাম মিলন। নায়েকের বাইরে একটা চরিত্র এটি। নায়কোচিত ব্যাপারটা নাই এখানে। সাইকো চরিত্র আমার।’
‘জীবনের অপ্রিয় একটি সত্য ঘটনা প্রিয় করে দর্শকের সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা করেছেন পরিচালক। আমরা চেষ্টা করেছি পরিচালককে ফলো করার। আমি যেটা বিশ্বাস করি ডিরেক্টর পাস করলে আর্টিস্ট পাস।’
সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তারসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা।
লাইভ সিনেমা প্রসঙ্গে চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যতটুকুন শুনেছি সিনেমাটি খুবই ভালো হয়েছে। শিল্পী-কুশলীদের আন্তরিকতার কথাও শুনেছি। প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড় হলেই তাদের এই পরিশ্রম সার্থক হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলা সিনেমা ফের জনপ্রিয়তা পেতে শুরু করেছে। ভালো ছবি মুক্তি পেলে এ জোয়ার ধরে রাখা যাবে।’
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শামীম আহমেদ রনী। সাইমন জানান, চার বছর পর তার সিনেমা আসছে। লাস্ট সিনেমা ছিল জান্নাত। সাইমন অভিনীত ৮টি সিনেমা সেন্সর হয়ে আছে, যার মধ্যে অন্যতম সুন্দর এবং তার আগ্রহ সবচেয়ে বেশি যে সিনেমাটা নিয়ে সেটার নাম লাইভ।
মাহি বলেন, ‘একটা ভালো সিনেমার প্রচার করতে নিজেরও ভালো লাগে। আর সিনেমায় যখন কাজ করতে যাই তখনই বোঝা যায় যে সিনেমাটা কী হতে যাচ্ছে।
‘যখন সিনেমার কাজ শুরু করছি তখন সাইমনকে বলছিলাম যে, অনেক ভালো অ্যাক্টিং করতে হবে, কারণ ক্যারিয়ারে এটা একটা টার্ন এনে দেবে। সাইমন তো ভালো অভিনয় করেছে, আমি কী করেছি আল্লাহ মাবুদ জানে।’
সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে শাপলা মিডিয়া। এর কর্ণধার সেলিম খান। তিনি সম্প্রতি চাঁদপুরের ‘বালুখেকো’ বলে পরিচিতি পেয়েছেন।