হাওয়া সিনেমার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটি সমঝোতার ভিত্তিতে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে রোববার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২ জানা না থাকার উল্লেখ করে হাওয়া সিনেমার পরিচালক আপস নিষ্পত্তির আবেদন করেছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের দায়ের করা মামলাটি সমঝোতার ভিত্তিতে প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের ৪৩ ধারা অনুযায়ী মামলাটি আপসযোগ্য হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ২৪৮ ধারায় আজ (রোববার) মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলাটি প্রত্যাহারের আবেদন জানানো হয়েছে।
‘আদালত আবেদন গ্রহণ করে বিষয়টি শুনেছেন এবং পরবর্তী তারিখে রায় ঘোষণার জন্য দিন নির্ধারণ করেছেন।’
হাওয়ার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে ১৭ আগস্ট মামলা করে বন বিভাগের বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট।
বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন, ২০১২ লঙ্ঘনের অভিযোগে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলাটি করা হয়।
সংস্থাটির বন্যপ্রাণী পরিদর্শক নারগিস সুলতানা এ মামলার বাদী। মামলায় ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।
হাওয়া সিনেমাটি মুক্তি পায় ২৯ জুলাই। মুক্তির পর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত চলচ্চিত্রটির রিভিউতে জানা যায়, চলচ্চিত্রটিতে একটি পাখিকে হত্যা করে চিবিয়ে খেয়েছেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী।
রিভিউ প্রকাশের পর বন্যপ্রাণী আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন অনেকে। তারপর দেশে পরিবেশ ও প্রকৃতি নিয়ে কাজ করা ৩৩টি সংগঠনের সমন্বিত প্রয়াস ‘বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ)’ গত ১০ আগস্ট এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দেয়।
পরদিন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে চলচ্চিত্রটি দেখে আইন লঙ্ঘনের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান বন অধিদপ্তর গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা।