বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ইমন-সুমনের বিরুদ্ধে মামলা নিষ্পত্তিতে নমনীয় বন অধিদপ্তর

  •    
  • ২৬ আগস্ট, ২০২২ ২৩:১৩

জরিমানা প্রশ্নে বন অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে হবে না বা এটা চার্য করা হবে না। ইকোসিস্টেমে এই পরিমান টাকার ক্ষতি হতে পারে। দেশের প্রচলিত আইন বিবেচনায় রায় দেবেন বিচারক। হতে পারে এটা এক হাজার কিংবা এক লাখ।

নাট্য নির্মাতা অনন্য ইমন এবং হাওয়া সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ আইনে হওয়া মামলা নিষ্পত্তিতে নমনীয় অবস্থানে বন অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ। উপ-প্রধান বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির শুক্রবার রাতে নিউজবাংলাকে এ কথা জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সবাই মিলে যদি কাজ করতে পারি, সেটাই তো ভালো। যাদের নামে মামলা হয়েছে, বলছি না তারা জেনে অপরাধ করেছেন। আইন সম্পর্কে আসলে সবাইকে জানানো জরুরি।’

হাওয়া সিনেমার পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মামলাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে উল্লেখ না করার আহ্বান জানান জাহিদুল কবির।

তিনি বলেন, ‘এটা এমন না যে তিনি টাকাটা দিয়ে দিলেন আর ক্ষতিটা পূরণ হয়ে গেল। এই টাকাটা নানা রকম ক্যালকুলেশনের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষয়-ক্ষতির হিসাব।’

বিচারে এই টাকার পরিমাণ কমতে পারে কি না জানতে চাইলে জাহিদুল কবির বলেন, ‘এটা তো বিচারাধীন। তাই এটা নিয়ে কথা না বলাই ভালো। বিচারে তার কোনো টাকা নাও দিতে হতে পারে। শুধু ডিসক্লেইমার দেয়ার নির্দশনা আসতে পারে। আবার জরিমানাও হতে পারে।’

বিষয়টি নিয়ে নাট্য নির্মাতাদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ড ও বন অধিদপ্তরের বৈঠক হয় বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে। ডিরেক্টরস গিল্ড শুক্রবার তাদের ফেসবুক পেজে আলোচনার বিষয়বস্তু প্রকাশ করে।

বলা হয়, নাট্য নির্মাতা অনন্য ইমন আর চলচ্চিত্র পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে মামলার দ্রুত সমাধান করতে হবে। পরিপ্রেক্ষিতে, আদালতে নিজেদের কোনো আইনজীবী নিয়োগ দেবে না বন অধিদপ্তর।

জরিমানা প্রশ্নে বন অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে হবে না বা এটা চার্য করা হবে না। ইকোসিস্টেমে এই পরিমান টাকার ক্ষতি হতে পারে। দেশের প্রচলিত আইন বিবেচনায় রায় দেবেন বিচারক। হতে পারে এটা এক হাজার কিংবা এক লাখ।

হাওয়া সিনেমা বন্ধ করার কোনো উদ্যোগ তারা (বন অধিদপ্তর) নেয়নি। সংগঠন বা ব্যক্তিপর্যায়ে কেউ করে থাকতে পারে।

বৈঠকে নাটক বা সিনেমায় বন্যপ্রাণী বিষয়ক আইনের যদি কোনো ধারা অমান্য করা হয়, তখন সরাসরি মামলা না করে যথাযথ ব্যক্তি বা সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করে তা সমাধানের আহ্বান জানায় ডিরেক্টরস গিল্ড। এদিন বেশ কয়েকটি দাবিও তোলে টেলিভিশন নাট্য পরিচালকদের সংগঠন।

এসব দাবির মধ্যে ছিল, নাটক বা সিনেমায় বিশেষ প্রয়োজনে বন্যপ্রাণীর প্রয়োজন মেটাতে বন অধিদপ্তরের ওয়ান স্টপ সার্ভিস পয়েন্ট চালু করা উচিত, যেন নির্মাতা বা প্রযোজক বন্যপ্রাণী ব্যবহারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পেতে পারে।

বন অধিদপ্তর ‘এটা ভালো প্রস্তাব’ বলে এ দাবিকে সাধুবাদ জানিয়েছে। তারা জানায়, সার্ভিস পয়েন্ট নিয়ে কাজ করবে অধিদপ্তর।

‘গল্পে যদি বন্যপ্রাণী বিষয়ক কোনো ঘটনা থাকে, তবে আগে যদি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়, তখন পরামর্শ দেয়া যাবে।’

সিনেমা বা নাটকে কী উপায়ে বন্যপ্রাণী দেখানো যাবে সে বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে পরিচালক, প্রযোজক, রাইটারদের সঙ্গে বন অধিদপ্তরের গোল টেবিল বৈঠকের দাবি তোলে ডিরেক্টরস গিল্ড।

বন অধিদপ্তর এসব দাবি লিখিত আকারে চেয়েছে। জানিয়েছে, শিগগিরই এমন আয়োজনে সারা দেবে তারা।

উপ-প্রধান বন সংরক্ষক জাহিদুল কবির ডিরেক্টরস গিল্ডের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও, মামলা ও ২০ কোটি টাকার বিষয়ে ডিরেক্টরস গিল্ড যেভাবে বন অধিদপ্তরের বক্তব্য লিখেছে, জাহিদুল কবির সেই বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন।

এ বিভাগের আরো খবর