বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরপত্তা আইন ২০১২ এর লঙ্ঘন হয়েছে বেলে হাওয়া সিনেমার পরিচালকের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মামলা, সিনেমাটি প্রদর্শন বন্ধের আইনি নোটিশ এবং জুলাই মাসে একই অভিযোগে নাট্য নির্মাতা অনন্য ইমনের বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকার মামলার ঘটনাকে শিল্প সংস্কৃতির কণ্ঠ রুদ্ধ করার, শিল্প সাহিত্য চর্চাকে নিরুৎসাহিত করার ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছে অভিনয়শিল্পী সংঘ।
মঙ্গলবার টিভি নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠনটিরি সভাপতি আহসান হাবীব নাসিম এবং সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়। নাট্য নির্মাতা অনন্য ইমনের বিরুদ্ধে ১৫ কোটি টাকার মামলা, মেজবাউর রহমান সুমনের বিরুদ্ধে ২০ কোটি টাকার মামলা ও হাওয়া সিনেমা প্রদর্শনী বন্ধের ষড়ষন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনটি এও জানায় যে, দেশের সংস্কৃতি চর্চার পথকে রুদ্ধ করবার সকল অপচেষ্টাকে রুখে দেবার জন্য তারা বদ্ধ পরিকর।
বিবৃতিতে অভিনয়শিল্পী সংঘ বলে, ‘আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। শিল্পী সাহিত্যিক সংস্কৃতিকর্মী মানেই তারা সমাজের সবচেয়ে সচেতন জনগোষ্ঠীর অংশ। আমরা কখনোই আমাদের সমাজ, পরিবেশ ও প্রকৃতি বিরুদ্ধ কোনো কর্মকাণ্ডকে সমর্থন করিনা। নাটক চলচ্চিত্র নির্মাণে কখনওই শিল্পী নির্মাতারা পশু-পাখি প্রাণী হত্যা ও নির্যাতন করেন না। গল্পের প্রয়োজনেই কখনও কখনও পশু-পাখিদের দেখানো হয়ে থাকে।’
এর আগে বিভিন্ন নাটক-চলচ্চিত্রে খাঁচায় বন্দি বন্যপ্রাণী দেখানো হয়েছে। সেসব দৃশ্য নিয়ে কেন আপত্তি উঠল না, সে প্রশ্ন তুলেছে সংগঠনটি।
বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) প্রযোজিত জনপ্রিয় বহুব্রীহি নাটকে কথা উল্লেখ করে সংগঠনটি বলে, “নাটকের সেই খাঁচায় বন্দী টিয়া পাখির ‘তুই রাজাকার’ সংলাপ এখনও আমাদের স্মৃতিতে জ্বলজ্বল করছে। এমন হাজারও ঘটনায় কর্তৃপক্ষ তখন কোথায় ছিল!”
হাওয়া সিনেমা ও নাট্য নির্মাতা ইমনের ঘটনায় চলচ্চিত্রের প্রযোজক, পরিচালককে ডেকে কথা বলা যেতে পারত বলে মনে করে অভিনয়শিল্পী সংঘ। আইন লঙ্ঘন হয়ে থাকলে কিভাবে তা শুধরানো যায় সেই আলোচনা ও পদক্ষেপ নেয়া যেতো বলেও মনে করে সংগঠনটি।