সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত আশীর্বাদ সিনেমার প্রযোজক এবং এর পরিচালক, কেন্দ্রীয় চরিত্রের দুই অভিনয়শিল্পীর মধ্যে চলছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ।
মঙ্গলবার সিনেমার অভিনেত্রী মাহি লিখিত অভিযোগ করেছেন শিল্পী সমিতিতে। একই দিন বিকেলে এফডিসিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সিনেমার প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন প্রযোজক নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে চলচ্চিত্র নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু আশীর্বাদ সিনেমার পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিককে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মুক্তির আগে তুমি বলেছ সিনেমাটি তুমি বানাতে পার নাই বা সিনেমাটি চলবে না, এটা বলা মহা, মহা, মহা, মহা অন্যায়।’
প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘আমি কাউকে ইঙ্গিত করে বলছি না, সামগ্রিকভাবে বলতে চাই, অনুদান পাওয়া প্রযোজককে লাইন প্রডিউসার বলার মানে কী? এর উত্তর আপনাকে দিতে হবে। এটা আমাদের স্বার্থে লাগে।
‘সিনেমা মুক্তির আগে কেউ কীভাবে বলে এটা ছবি হয় নাই। এতে করে প্রযোজকের ক্ষতি হলো, এই ক্ষতি কে দেবে। আপনার যদি কাজ পছন্দ না হয়, আপনি কাজ করতেন না। কাজ করে কেন বললেন ছবি ভালো না। এই প্রযোজকের ক্ষতি আমরা আদায় করে নেব আপনার কাছ থেকে।’
কারও নাম উল্লেখ না করে খসরু বলেন, ‘আপনি বেশি কথা বলবেন না, আপনার বেশি কথা বলার কারণে একজন মন্ত্রীর মন্ত্রিত্ব গেছে।’
এরপর খসরু দর্শকদের বিভ্রান্ত না হয়ে আশীর্বাদ সিনেমা দেখার আহ্বান জানান। প্রযোজক, অভিনেতা নাদের খান জেনিফারকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘সিনেমা রিলিজ হলে সরাসরি কেস করে দেবেন।’
সবশেষে কথা বলেন আশীর্বাদ সিনেমার প্রযোজক জেনিফার ফেরদৌস। তিনি জানান, পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক সিনেমটির ব্যবসায় অনেক ক্ষতি করেছেন।
জেনিফার বলেন, ‘আমি দুদিন আগেই মামলা করতাম, আমার অনেক বড় ক্ষতি করেছে মানিক। সিনেমার ৩০টার ওপরে প্রেক্ষাগৃহ পাওয়ার কথা ছিল। এখন আমি ৯-১০টা প্রেক্ষাগৃহও পাচ্ছি না।
‘এর ক্ষতিপূরণ পরিচালক, মাহি, রোশানকে দিতে হবে এবং আমি অবশ্যই মামলা করব। এটা অনুদানের সিনেমা, ফাজলামো না। এই টাকা আমি তুলে দেখাব। এই টাকা আসবে মানিক, মাহি ও রোশানের ঘর থেকে।’
জেনিফার আরও বলেন, ‘প্রথম থেকেই আমাকে যদি তাদের বিরক্ত লাগে, তাহলে কাজ করলা কেন। মাহি ছাড়া কেউ ফুল সাইনিং করা ছিল না।’
জেনিফারের দাবি, পরিচালক মানিক অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। কলাকুশলীদের তিনি ঠিকমতো টাকা দেননি। ৫০ হাজার টাকা যাকে দেয়ার কথা, তাকে দিয়েছেন ১৫ হাজার, ১ লাখের জায়গায় দিয়েছেন ৫০ হাজার।
জেনিফার বলেন, ‘একজন সংগীত পরিচালক ফোন করে আমাকে বলেন তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার টাকা। কিন্তু তার জন্য আমি ৪০ হাজার দিয়েছি। তার রিসিটও আছে আমার কাছে।’ আশীর্বাদ সিনেমাটি মুক্তি পাবে ২৬ আগস্ট।