বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘কত বছর গেছে নিজের চিৎকার গিলে ফেলে, ধন্যবাদ হে রাষ্ট্র’

  •    
  • ৯ আগস্ট, ২০২২ ১৭:৫২

ফারুকী লেখেন, ‘সম্মিলিত ক্ষোভের চেয়ে বিধ্বংসী কোনো অস্ত্র নাই! আরও খেয়াল রাখতে হবে ক্রমাগত চাপে এই ক্ষোভ যেন ঘৃণায় রূপ না নেয়। কারণ কে না জানে ঘৃণার চেয়ে বড় কোনো মারণাস্ত্র নাই।’

সেন্সর বোর্ডে জমা দিয়ে সেন্সর না পাওয়ায় আপিল করেন শনিবার বিকেল সিনেমার প্রযোজক। সাড়ে তিন বছর হয়ে গেলেও সেন্সর বোর্ডের আপিল বিভাগ সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দেয়নি এবং কেন আটকে আছে সিনেমাটি, তাও জানায়নি।

এ নিয়ে কয়েক দিন ধরে নিয়মিত ফেসবুকে লিখছেন সিনেমাটির পরিচালক মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। সিনেমাটি মুক্তি না পাওয়া এবং কী কারণে সিনেমাটি আটকে আছে তাও জানতে না পারায় মঙ্গলবার এক স্ট্যাটাসে ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে জানান কষ্ট ও হাতাশার কথা।

তিনি লেখেন, ‘আমার কত রাত গেছে অনিদ্রায়। কত দিন গেছে ক্ষমতাবানদের দুয়ারে হাত মুছতে মুছতে। কত দুপুর গেছে রাগে অন্ধ হয়ে। কত বছর গেছে নিজের চিৎকার নিজেই গিলে ফেলে। ধন্যবাদ, হে রাষ্ট্র! ফিল্মমেকিংয়ের চেয়ে বড় কোনো অপরাধ তো আর নাই। সুতরাং, ঠিকই আছে।’

এমন ঘটনা ফারুকীর জন্য প্রথম নয়। তার আগের সিনেমাগুলোতেও এমন সমস্যা হয়েছে বলে জানান ফারুকী।

লেখেন, ‘তোমাকে ধন্যবাদ, আমাকে ঠিকঠাক সাইজ করার জন্য। ব্যাচেলরের সময় তুমি ভাবছো আমার ছবি সমাজ নষ্ট করে ফেলবে! মেড ইন বাংলাদেশে ভাবছো এই ছবি দেশ ধ্বংস করবে! সুতরাং দেড় বছর সেন্সর জেলে রাখছো! ঠিকই আছে। থার্ড পারসন সিঙ্গুলারের জন্য সেন্সরের জেলটা একটু বোধ হয় কম হয়ে গেছিলো। অপরাধ বিবেচনায় ওই ছবি আটকে রাখা উচিত ছিল তিন বছর। যাই হোক শনিবার বিকেলে সেটা পুষিয়ে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। উঠতে বসতে এইভাবে পিটিয়ে ছাল তোলার জন্য কৃতজ্ঞ।’

তিনি আরও লেখেন, ‘কিন্তু এইভাবে বোধ হয় পুরোপুরি হবে না। কারণ একটা ছবি ভাবা হয়ে গেলে তো সেটা দুনিয়াতে এগজিস্ট করে গেলো। বানানো হলে তো আরো শক্ত ভাবে এগজিস্ট করলো। আজ হোক কাল হোক সেটা তো দেখে ফেলবে মানুষ।’

সিনেমা আটকে রাখায় সিনেমা অঙ্গনে একরকম ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। সেই ক্ষোভ যেন ঘৃণায় রূপ না নেয়, সেই সাবধানতার কথা বলেছেন ফারুকী।

তিনি লেখেন, ‘তাই বলি কী এমন কিছু একটা করো যাতে ভাবনাটাও বন্ধ করে দেয়া যায়। এমন ওষুধ আবিষ্কার করো, হে রাষ্ট্র, যাতে কারো মনে ক্ষোভ জন্ম না নেয়! কারণ সম্মিলিত ক্ষোভের চেয়ে বিধ্বংসী কোনো অস্ত্র নাই! আরও খেয়াল রাখতে হবে ক্রমাগত চাপে এই ক্ষোভ যেন ঘৃণায় রূপ না নেয়। কারণ কে না জানে ঘৃণার চেয়ে বড় কোনো মারণাস্ত্র নাই।’

মঙ্গলবার সকাল থেকে ফেসবুকে ‘শনিবার বিকেল মুক্তি পাক’ লাইন লিখে সরব হয়েছেন দেশের নির্মাতা ও কলাকুশলীরা। নানা বাক্যে সিনেমাটির মুক্তির আবেদন করেছেন তারা।

এ বিভাগের আরো খবর