সিরাজগঞ্জ জেলা সদরের প্রেক্ষাগৃহ রুটস সিনেক্লাব। প্রেক্ষাগৃহ কর্তৃপক্ষের দাবি ‘ক্লাব-নির্ভর মিনি সিনেমাহল ধারণার প্রেক্ষাগৃহ’ এটি। ২২ সিটের এ প্রেক্ষাগৃহটি প্রদর্শন ও সাউন্ড সিস্টেমে খুবই আধুনিক বলে দাবি তাদের।
রুটস সিনেক্লাব কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি এক ঘোষণায় জানিয়েছে, তারা সারা দেশে শাখা প্রতিষ্ঠা করতে চায় এবং প্রেক্ষাগৃহের মালিক চাইলে সার্ভার সেবা দিতে চায়। আর এ জন্য তারা আগ্রহপত্রও গ্রহণ শুরু করেছে।
৩০ জুলাই রুটস সিনেক্লাব তাদের ফেসবুক পেজে জানায়, রুটস সিনেক্লাব ১০০ রও বেশি শাখা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করতে চায়। আগ্রহপত্র যাচাই বাছাই শেষে ২০২৩ সাল থেকে শাখা প্রতিষ্ঠার প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করা হবে।
২ স্ক্রিনের ‘রুটস সিনেক্লাব’ এবং ৩ স্ক্রিনের ‘রুটস সিনেপ্লেক্স’- দুই ধরণের প্রেক্ষাগৃহ নির্মাণে আগ্রহী রুটস সিনেক্লাব। সিনেক্লাবে থাকবে ৫০ আসনের একটি এবং ২০ আসনের একটি করে ২টি প্রেক্ষাগৃহ। আর সিনেপ্লেক্সে থাকবে ৫০ আসনের ২টি এবং ২০ আসনের একটি নিয়ে ৩টি প্রেক্ষাগৃহ।
সিনেক্লাবে প্রয়োজন হবে ২০০০ স্কয়ারফুট ও কমপক্ষে ১৪ ফুট উচ্চতার একটি ফ্লোর। সিনেপ্লেক্সে প্রয়োজন হবে ৩০০০ স্কয়ারফুটের ফ্লোর। ১৪ ফুট উচ্চতার ফ্লোরে ২০ ফুট দূরত্বে পিলার থাকা জরুরি বলে জানান তারা।
ঘোষণায় জানানো হয়, রুটস সিনেক্লাবের শাখা করতে খরচ হবে ১ কোটি টাকা, আর রুটস সিনেপ্লেক্সের শাখা করতে খরচ হবে ১.৫ কোটি টাকা।
রুটস সিনেক্লাবের চেয়ারম্যান সামিনা ইসলাম নিউজবাংলাকে জানান, প্রেক্ষাগৃহের মালিকানা বা অর্থনৈতিক বণ্টন হবে আলোচনা সাপেক্ষে। ১ কোটি দেড় কোটি টাকা খরচ করতে হবে যিনি আগ্রহী তার। প্রযুক্তিগত সহায়তাসহ সিনেমা সংগ্রহের লিয়াজু করবে রুটস সিনেক্লাব।
সামিনা ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যশোর, নারায়ণগঞ্জ এমনকি ঢাকা থেকেও আমাদের সঙ্গে অনেকে কথা বলছেন, আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আর কথায় কথায় তো অনেকেই আগ্রহ দেখান।’
প্রেক্ষাগৃহের মালিকরা বলে আসছেন, সিনেমার অভাবে প্রেক্ষাগৃহ পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। এমন সময় কেন শাখা প্রতিষ্ঠা করার উদ্যোগ, জানতে চাইলে সামিনা ইসলাম বলেন, ‘প্রেক্ষাগৃহ থাকলে সিনেমা প্রদর্শন করে প্রযোজকরা লাভবান হতে পারবেন। বর্তমান সময়ে সেটার অভাব আমরা বুঝতে পারছি। আর বলিউড সিনেমা আসলে সেটা আরও সহজ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হলিউড সিনেমা প্রদর্শন করার সুযোগও থাকবে। সেজন্য আমরা সার্ভার নিয়ে কাজ করছি। সেটা হয়ে গেলে অনেকখানি এগিয়ে যেতে পারব।’
২০২৩ সাল থেকে ‘রুটস্’ নিজস্ব ডিসিপি সার্ভার এবং টিকিট অটোমেশনে প্রেক্ষাগৃহ পরিচালনার জন্য সক্ষমতা অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান সামিনা ইসলাম।