শুক্রবার হাওয়া সিনেমা মুক্তির পর বেশ কিছু মন্তব্য পাওয়া গেছে সিনেমাটি নিয়ে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই লিখেছেন, লিখছেন সিনেমাটি দেখে তাদের অভিজ্ঞতার কতা। যাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ হাওয়া সিনেমাটিকে ‘মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনার’ বলে উল্লেখ করেছেন।
নাসির উদ্দিন ইউসুফ তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, ‘মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনার একটি চলচ্চিত্র মেজবাউর রহমান সুমনের হাওয়া। মানব জীবনের স্নেহ, মমতা, লোভ, হিংসা, দ্বেষ, প্রতিশোধ, যৌনতা, ভালোবাসা, জীবন, মৃত্যু সকল কিছুকে ধারণ করে এক মহাজীবনের ছবি এঁকেছেন সুমন হাওয়া চলচ্চিত্রে।
‘অস্থির ও নিস্তরঙ্গ বিশাল সমুদ্রে একটি ভাসমান জলযান। উপরে অসীম রহস্যময় আকাশ। জলের গভীরে রহস্যময় প্রাণীকূল। জলযানের উপর কতক মানুষের লোভ-লালসা, হিংসা-বিদ্বেষ, প্রেম-অপ্রেম, যৌনতা ও প্রতিশোধের রক্তাত্ব পরিণতি। সবশেষে যাদুবাস্তবার এক অতিপ্রাকৃত স্পর্শে প্রেম এসে মহাজীবনের হাতছানির দেয় বৈকি।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সমুদ্র এভাবে বাংলা চলচ্চিত্র কেন ভারতবর্ষের কোনো চলচ্চিত্রে ধরা দেয়নি। এক কথায় দুর্ধর্ষ চলচ্চিত্র হাওয়া। পরিচালকসহ সকল কলাকুশলীদের একবুক ভালোবাসা।’
সিনেমাটির গান ‘সাদা সাদা কালা কালা’ ছড়িয়ে পড়েছে দেশের কানায় কানায়। হাওয়া সিনেমায় ব্যবহার করা গানটি ভালো লেগেছে সব সয়সী, সব পেশার মানুষের।
অভিনেতা মিশা সওদাগর তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শনিবার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে অভিনেতার স্ত্রী প্লাস্টিকের গামলা ও বোতল বাজিয়ে গাইছেন ‘সাদা সাদা কালা কালা গানটি।’
মিশা সওদাগর ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘পরিচালকরা দর্শকদের রুচি পরিবর্তন করতে পারেন। হাওয়া সিনেমার টিমকে সম্মান। গানটি গাইছেন আমার স্ত্রী আর ভিডিও করেছে আমার ছেলে।’
প্রেক্ষাগৃহের মধ্যে যখন গানটি বাজছে, তখন দর্শকরাও গানটির সঙ্গে সঙ্গে গেয়ে উঠছে ‘সাদা সাদা কালা কালা’। বড় পর্দার সামনে গিয়ে নাচতেও দেখা গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোন্ট হওয়া কয়েকটি ভিডিওতে।