আর কয়েক ঘণ্টা পরই পর্দায় ভেসে উঠবে গভীর সমুদ্রের গল্প; এই সময়ের রূপকথার গল্প। বহুল প্রতীক্ষিত হাওয়া সিনেমার মুক্তির ঠিক আগ মুহূর্তে কিছুটা টেনশনেই আছেন সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক অজয় কুণ্ডু।
বৃহস্পতিবার রাতে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলার সময় উদ্বেগের কথা জানান তিনি। বলেন, ‘মানুষের এক্সপেক্টেশন যখন বেড়ে যায়, তখন স্বাভাবিক কারণেই নিজেদের ভেতরে কিছুটা ভয় কাজ করে। এই এক্সপেক্টেশনটা ফুলফিল হবে কি না, সিনেমাটা দেখার পর কী হবে, এই ধরনের একটা টেনশন যে নিজের ভেতরে কাজ করছে না তা না।’
সিনেমাটি দর্শকের ভালো লাগবে বলেই মনে করেন অজয়, তারপরও সবকিছু নির্ভর করছে দর্শকদের ওপর, জানালেন অজয়। ২৩টি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে, দর্শকের ভালো লাগলে দীর্ঘদিন সিনেমাটি প্রদর্শন করা যাবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অজয় বলেন, ‘সিনেমাটি যদি দর্শকের ভালো না লাগে তাহলে আমাদের কিছু বলতে হবে না, সিনেপ্লেক্সই শো কমিয়ে দেবে।’
হাওয়া প্রযোজনা করেছে সান মিউজিক অ্যান্ড মোশন পিকচার্স। প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসার চেয়ে ভালো সিনেমা দর্শকদের দেখাতে চায় বলে জানান অজয়।
হাওয়া সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক অজয় কুণ্ডু। ছবি: নিউজবাংলা
তিনি বলেন, ‘আমরা ভালো সিনেমা বানানোর চেষ্টা করি। সিনেমার ব্যবসা কত হলো তার চেয়ে আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ কত মানুষের কাছে সিনেমাটি গেল। হাওয়ার ক্ষেত্রেও তাই। আমরা আমাদের ইমেজের মধ্যে থেকে সিনেমা বানাই। আমরা বিশ্বাস করি, যদি ইমেজটা ভালো হয়, তাহলে সেটা একসময় আপনাকে ব্যবসা দেবে।’
শিগগিরই হাওয়া দেশের বাইরে মুক্তি পেতে যাচ্ছে। অজয় জানান, এরই মধ্যে তাদের চুক্তি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে হাওয়া ১৩ আগস্ট এবং যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডাতে রিলিজ হবে সেপ্টেম্বরের ২ তারিখে। আরও ১০টি দেশে সিনেমাটি মুক্তির কথা চলছে।
তাহলে হাওয়া সিনেমার ব্যবসা কি আগেই হয়ে গেল, জানতে চাইলে অজয় বলেন, ‘আমাদের হাউস থেকে টাকার জন্য প্রোডাকশন করি না। কত মানুষের মধ্যে আমরা পৌঁছাতে পারছি, সেটা সবচেয়ে বড় কথা।’
পরাণ সিনেমা নিয়েও কথা বলেন অজয় কুণ্ডু। তিনি বলেন, ‘সিনেমা দুটি ভিন্ন কিছু না। তারা আমাদের চেনে, আমরা তাদের চিনি। পরাণ আমি দেখেছি, ভালো সিনেমা। দুটি সিনেমা মিলে দর্শকদের প্রেক্ষাগৃহে নিয়ে আসতে পারছে, এটা জরুরি। এতে করে আরও নতুন কিছু করার সাহস পাওয়া যায়।’
পরাণ ভালো চলছে প্রেক্ষাগৃহে, এ জন্য হাওয়া সিনেমাটি পরে মুক্তি দেয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল কি না জানতে চাইলে অজয় জানান, এটা আসলে অনেক আগেই চূড়ান্ত করা ছিল। তাছাড়া দুটি সিনেমাকে প্রতিযোগী মনে করছেন না তিনি।
অজয়ের মতে, উৎসাহটা মানুষ যদি পায় তাহলে কিছু কাজ করতে চাইবে অনেকে। নতুন করে অনেকে আসবে সিনেমা করার জন্য। যারা সিনেমা থেকে দূরে আছে তাদের অনেকে ফিরবে, দর্শক ফিরবে সেটা জরুরি।