ঈদে মুক্তি পেয়েছে নির্মাতা রায়হান রাফি পরিচালিত সিনেমা পরাণ। মুক্তির প্রায় ২০ দিন হতে চললেও এখনও সিনেমাটি দেখতে প্রেক্ষাগৃহে হুমড়ি খাওয়া ভিড়।
মুক্তির পর থেকেই দর্শকদের প্রশংসায় ভাসছে পরাণ। শুধু এই সিনেমাটিই নয়, দর্শকদের মন কেড়েছেন এর অন্যতম প্রধান চরিত্র শরিফুল রাজ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ দর্শকের মুখে মুখে প্রশংসা এই অভিনেতার।
এরই মধ্যে শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে তার অভিনীত আরেক সিনেমা হাওয়া। পরাণ-এর মতো এই সিনেমার টিকিটও অগ্রিম কাটছেন দর্শকরা।
তার অভিনীত সিনেমা ঘিরে দর্শকের মাঝে এমন উৎসব উৎসব ভাব কীভাবে উদযাপন করছেন এই অভিনেতা।
এইসব নিয়ে নিউজবাংলার নানা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন রাজ। সঙ্গে জানালেন পরীর সঙ্গে তার সুখের নীড়ের খবরও।
এই যে ‘পরাণ’ ঘিরে রাজের এত প্রশংসা, এত আলোচনা, কেমন লাগছে, সেটা কীভাবে উদযাপন করছেন?
আসলে কোনো কাজ করে আসার পর এত প্রশংসা, এত আলোচনা যখন মানুষ করে, তখন ভালোই লাগে। আমার কাছে ভালোই লাগছে। একটা সিনেমা করে আসার পর সেই সিনেমার চরিত্র নিয়ে, সিনেমা নিয়ে মানুষ কথা বলছে এত প্রশংসা করছে, সবকিছু মিলিয়ে আমার কাছে মনে হয়- যে চরিত্রটি করতে গিয়েছিলাম, সেই চরিত্রটি মনে হয় ঠিকঠাক করে আসতে পেরেছি। যার কারণে মানুষের এত ভালোবাসা, এত প্রশংসা।
এই উদযাপনটা আমার নয়, আমার দর্শকদের, যারা আমাকে নিয়ে এত আলোচনা করছে, প্রশংসা করছে এই ক্রেডিটটা তাদেরই।
পরাণের পোস্টারে রাজ-মিম-ইয়াশ। ছবি
আপনার কি মনে হয় ‘পরাণ’ আপনার চলচ্চিত্রজীবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করল?
‘পরাণ’ আমার জীবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করল কি না বলতে পারব না, তবে পরাণ আমার জীবনের করা কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম একটা কাজ, যে কাজে আমি এত সাড়া পাই, আমাকে নিয়ে এত প্রশংসা হয়, এত আলোচনা হয়।
আমার চলচ্চিত্রে কাজ করতে এসে মনে হয় আর কোনো কাজ নেই যেই কাজে এত সাড়া পেলাম আমি। পরাণ আসলে ওই জায়গাটাই স্পেশাল থাকবে আমি যতদিন ফিল্মে থাকি; যে একটা সিনেমাতে আমি অভাবনীয় সাড়া পাই। আমার মনে হয় এটা আমার জীবনের অন্যতম একটা সুন্দর স্মৃতি হয়ে থাকল।
পরাণের রেশ থাকতেই ‘হাওয়া’ আসছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে চোখ রাখলে দেখা যাচ্ছে এটার ট্রেইলারেও দর্শকের নজর কেড়েছেন আপনি? ‘হাওয়া’য় নিজেকে নিয়ে কেমন প্রত্যাশা?
সবকিছু মিলে ‘হাওয়া’ নিয়েও আমার অনেক প্রত্যশা। প্রত্যাশা বলতে, ‘পরাণ’ যেভাবে দেখল বাংলা সিনেমার দর্শকরা। এত মানুষ যে বাংলা সিনেমার জন্য পাগল, আমার মনে হয় ‘পরাণ’-এর ইমপ্যাক্ট ‘হাওয়া’তেও পড়বে। অলরেডি শুরু হয়েছে, অলরেডি ‘হাওয়া’র টিকিটও হাওয়া।
সবকিছু মিলিয়ে ‘পরাণ’ এবং ‘হাওয়া’ ব্যাক টু ব্যাক রিলিজ, দুটোই হলে চলছে। আমি চাইব ‘পরাণ’টা যেমন চলল, ‘হাওয়া’টাও যেন এ রকমভাবেই হাওয়া হয়ে যাক, মানুষ টিকিট না পাক। এটা আমাদের দেশের ইন্ডাস্ট্রির জন্য বড় একটা সংবাদ। বাংলা সিনেমার জন্য মানুষ এ রকম হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। বাংলা সিনেমা নিয়ে মানুষ এত লেখালেখি, এত আলোচনা করছে।
হাওয়ার পোস্টারে রাজ। ছবি: সংগৃহীত
আপনার অর্ধাঙ্গিনী এবং আমাদের সবার প্রিয় পরীমনির সঙ্গে এইসব নিয়ে আলাপ হয়? আপনাকে নিয়ে বর্তমানে দর্শকদের যে উন্মাদনা তা নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া পরীমনির?
পরী তো আসলে সব সময় এগুলো নিয়ে আলাপ করে বাসায় এলেই। আর সে চমৎকারভাবে আমাকে সাপোর্ট করে। সবার প্রতিক্রিয়া-আলোচনায়-প্রশংসা সবকিছু মিলে সে অনেক হ্যাপি।
এবার একটু রাজ-পরীর সুখের নীড়ের খবর জানতে চাই, নতুন অতিথি পৃথিবীর মুখ দেখবেন কবে নাগাদ? দুজনের এই সুখময় মুহূর্তের অপেক্ষার প্রহর নিয়ে কিছু বলেন।
আমরা মনে হয় আর কিছুদিনের মধ্যে নিজেরাই সেই সুখবর দেব। এই মুহূর্তে আমরা ঠিকঠাক-সুন্দর সময় কাটাচ্ছি। আমরা নিজেরাও খুব অপেক্ষার প্রহর গুনছি। কখন আসলে সেই দিনটা আসবে। সবকিছু মিলিয়ে আলহামদুলিল্লাহ।
রাজ-পরীমনি। ছবি: সংগৃহীত
দর্শকদের এত ভালোবাসার বিপরীতে তাদের উদ্দেশে কিছু বলবেন?
আসলে আমার কাজগুলো যারা পছন্দ করেন, প্রশংসা করে লেখালেখি করেন, যারা আমার কাজ নিয়ে এত মাতামাতি করেন; আমার এই কাজের ক্রেডিটটা তাদেরই।
আমাকে যারা মন ভরে ভালোবাসা দিলেন, জড়িয়ে ধরে ভালোবাসা দিলেন, আমি তাদেরকে অনেক ভালোবাসি-অনেক ভালোবাসি। এই ভালোবাসার ঋণ তো আসলে শোধ হয় না, ভালোবাসাটা ভালোবাসা দিয়েই দিতে হয়।
আমি তাদের কাছে দোয়া চাইব, আমি যেন সুস্থ স্বাভাবিকভাবে থাকতে পারি এবং ভালো কিছু কাজ উপহার দিতে পারি তাদের। তাদের জন্য আমি আরও চমৎকার চমৎকার কাজ করতে পারলে হ্যাপি।