বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

৭ বছর পর থিয়েটারের নতুন নাটক ‘পোহালে শর্বরী’

  •    
  • ২৭ জুন, ২০২২ ১৮:১৬

সামাজিক বিধিবিধান, ব্যক্তিমানস বিশেষ করে নারীর চাওয়া-পাওয়াকে মর্যাদা দিতে এখনও উদাসীন। পোহালে শর্বরী যদি দর্শকদের এ বিষয়ে কিছুটা হলেও ভাবায়, তবেই এ প্রচেষ্টা অর্থবহ বলে জানান রামেন্দু মজুমদার।

মঞ্চে থিয়েটারের নাটক নিয়মিত মঞ্চস্থ হলেও নতুন নাটক আসছে ৭ বছর পর। নতুন এ প্রযোজনার নাম ‘পোহালে শর্বরী’। এটি থিয়েটারের ৪৭তম প্রযোজনা।

সুরেন্দ্র বর্মার নাটকটি অনুবাদ করেছেন অংশুমান ভৌমিক। এটি নির্দেশনা দিচ্ছেন রামেন্দু মজুমদার। ২০০৩ সালে শেষ নাটক নির্দেশনা দিয়েছিলেন তিনি। সহকারী নির্দেশক হিসেবে আছেন ত্রপা মজুমদার।

নাটকটি মঞ্চস্থ হবে ১ ও ২ জুলাই, শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায়, ৫টা ৩০ ও ৭টা ৩০ মিনিটে। এখন চলছে নাটকের মহড়া।

নিউজবাংলাকে ত্রপা মজুমদার বলেন, ‘আমরা এবার নতুন একটা কাজ করতে যাচ্ছি। সেটা হলো, নাটকে এক চারিতে দুজন করে অভিনয় করছি। অর্থাৎ প্রথম শো-তে যারা অভিনয় করবেন, দ্বিতীয় শো-তে তারা থাকবেন না। দ্বিতীয় শো-তে থাকবেন অন্য অভিনয়শিল্পীরা।’

এর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ত্রপা বলেন, ‘নির্দেশকের (রামেন্দু মজুমদার) মতে, এতে করে অনেক অভিনয়শিল্পী একটি প্রোডাকশনের কাজ করার সুযোগ পাবে। আর, কোনো একজন শিল্পী না থাকলে মঞ্চায়নের সমস্যা হবে না।’

নাটকের নির্দেশক রামেন্দু মজুমদার লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা যখন নতুন নাটকের জন্যে পাণ্ডুলিপির খোঁজ করছিলাম, তখন সুরেন্দ্র বর্মার এ নাটকটির সন্ধান দেন খ্যাতিমান সমালোচক প্রীতিভাজন অংশুমান ভৌমিক। বিষয়বস্তুর কথা জেনে উৎসাহিত হই, কারণ সমাজে নারীর অবস্থান আমরা আমাদের একাধিক নাটকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।

‘মহাভারতের যুগের মাধবী থেকে আমাদের কালের কোকিলারা কেবল পুরুষের প্রয়োজনেই ব্যবহৃত হয়েছে। তেমনি দেড়-দুই হাজার বছরের আশপাশে এক কালখণ্ডে রাজবংশের উত্তরাধিকারের সংকটে নারীকে তার কামনা-বাসনার কোনো মূল্য না দিয়ে নিছক সন্তান উৎপাদনের যন্ত্র হিসেবে বিবেচনা করার এক কাহিনি বিধৃত হয়েছে এ নাটকে।’

এর পাশাপাশি নাটকে ধর্মের অনুশাসন ও রাজনীতির কূটকৌশলের কারণে পুরুষের শিকার হওয়ার বিষয়ও রয়েছে বলে জানান রামেন্দু মজুমদার।

তিনি আরও বলেন, ‘নাটকের স্থান-কাল-পাত্রের ক্ষেত্রে শিল্পের স্বাধীনতা নিয়েছি আমরা। স্থান বা পাত্র কিছুটা নির্দিষ্ট করা গেলেও কালের ক্ষেত্রে ধরাবাঁধা নিয়মে নিজেদের খুব একটা বাঁধিনি– পোশাক বা মঞ্চসজ্জায় তার প্রভাব লক্ষণীয়। বিষয়বস্তু বা মূল বক্তব্য যেমন আজও প্রাসঙ্গিক, উপস্থাপনা রীতিও তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রাখারই চেষ্টা করেছি আমরা।’

নাটকটির কাজ দুই বছরের বেশি সময় আগে শুরু হয়েছিল বলে জানান নির্দেশক। করোনা মহামারির কারণে প্রস্তুতি থেমে যায়।

রামেন্দু মজুমদার বলেন, ‘নির্দেশনার সিংহভাগ কাজ করেছেন ত্রপা মজুমদার। তরুণ প্রজন্মই থিয়েটারকে এগিয়ে নিতে পারে- এ আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।’

সামাজিক বিধিবিধান, ব্যক্তিমানস বিশেষ করে নারীর চাওয়া-পাওয়াকে মর্যাদা দিতে এখনও উদাসীন। পোহালে শর্বরী যদি দর্শকদের এ বিষয়ে কিছুটা হলেও ভাবায়, তবেই এ প্রচেষ্টা অর্থবহ বলে জানান রামেন্দু মজুমদার।

এ বিভাগের আরো খবর