বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘বাণিজ্যিক সিনেমার অনুদান পাওয়া মূল লক্ষ্যের পরিপন্থি’

  •    
  • ২১ জুন, ২০২২ ১৮:৪১

সম্প্রতি ঘোষিত অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের তালিকায় অধিক বাণিজ্যিক সিনেমার অন্তর্ভুক্তি এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র বাদ পড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম।

অনুদানে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাণিজ্যিক সিনেমার সংযোজন অনুদানের ঘোষিত মূল লক্ষ্যের পরিপন্থি বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম।

বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গনকে সমৃদ্ধ করার জন্য ৩৬ বছর ধরে কাজ করা সংগঠনটি মনে করে বাণিজ্যিক সিনেমার প্রণোদনা ভিন্ন হওয়া উচিত।

সংগঠনের দাবি, বাণিজ্যিক সিনেমাকে অনুদান দিয়ে টিকিয়ে রাখা সম্ভব না। বাণিজ্যিক সিনেমাকে টিকে থাকতে হলে সক্রিয় বাজার ব্যবস্থার ওপর ভিত্তি করে টিকে থাকতে হবে যা চাহিদা ও জোগানের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠে।

এ বিষয়ে সরকারকে ভিন্ন নীতি ও কর্মকৌশল প্রণয়ন করার পরামর্শ দিয়েছে সংগঠনটি।

সম্প্রতি ঘোষিত অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রের তালিকায় অধিক বাণিজ্যিক সিনেমার অন্তর্ভুক্তি এবং পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র বাদ পড়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে শর্ট ফিল্ম ফোরাম।

১৫ জুন পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমায় অনুদানপ্রাপ্তদের নাম প্রকাশ পেয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে। সেখানে যেমন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাণিজ্যিক সিনেমার নাম রয়েছে, তেমনি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র বিভাগে দেয়া হয়নি কোনো অনুদান।

বিষয়টি উল্লেখ করে সংগঠনটি জানিয়েছে, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র ধারার প্রসার ও বিকাশ ঘটানোর জন্য অনুদানসহ নানা ধরনের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন। পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র সারা বিশ্বে স্বীকৃত এবং আদৃত একটি ধারা।

বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ছড়িয়ে দিতে পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্রগুলো অনন্য ভূমিকা পালন করেছে।

বাংলাদেশ শর্ট ফিল্ম ফোরাম সদস্য তারেক মাসুদ, ক্যাথরিন মাসুদ, তানভীর মোকাম্মেল, মানজারে হাসীন মুরাদ, কাওসার চৌধুরীসহ অনেকেই পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে একে একটি সৃজনশীল ধারা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন এবং নতুন প্রজন্মের অনেককেই এ ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণে উদ্বুদ্ধ করেছেন।

সংগঠনটি সরকারের কাছে অনুরোধ করে বলেছে, ‘আমরা সরকার এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে অনুরোধ করব এ বছর বিশেষ বিবেচনায় কমপক্ষে দুটি পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রামাণ্য চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয়া হোক।’

এর পাশাপাশি সংস্কৃতিজন এবং চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবার মতামত নিয়ে চলচ্চিত্র অনুদান নীতিমালা হালনাগাদ করা এবং বাছাই প্রক্রিয়াকে আরও স্বচ্ছ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করার আহ্বান জানিয়েছে শর্ট ফিল্ম ফোরাম।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর রয়েছে শর্ট ফিল্ম ফোরামের সভাপতি জহিরুল ইসলাম কচি এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসানের।

এ বিভাগের আরো খবর