বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

শাকিব খানের অনুদান কেন লাগে, জানালেন পরিচালক

  •    
  • ১৫ জুন, ২০২২ ১৭:৪৪

মায়া সিনেমার জন্য ৬৫ লাখ টাকা পাবেন শাকিব খান। হিমেল জানান, রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার সিনেমা হবে মায়া। এর সঙ্গে থাকবে পিরিওডিক ব্যাপারও। চলতি বছরেই সিনেমার শুটিং শুরু করতে চান পরিচালক। পুরো কাজ হবে বাংলাদেশেই।

২০২১-২২ অর্থবছরে চলচ্চিত্রে সরকারি অনুদান ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯টি সিনেমাকে দেয়া হয়েছে অনুদান। যার মধ্যে প্রযোজক হিসেবে শাকিব খানের সিনেমা মায়া রয়েছে। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন হিমেল আশরাফ।

খবর প্রকাশের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, শাকিব খানের মতো সুপারস্টারের কেন সরকারি অনুদান নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করার প্রয়োজন হয়।

নেটিজেনদের একাংশের দাবি, তার এমনিতেই তো অনেক টাকা। প্রত্যেক সিনেমায় তিনি সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা করে পারিশ্রমিক নেন।

এ ব্যাপারে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন মায়া সিনেমার পরিচালক হিমেল আশরাফ। তিনি আমেরিকায় থাকেন। শাকিব খানের রাজকুমার সিনেমার বাংলাদেশ অংশের প্রি-প্রডাকশনের কাজ করতে এখন তিনি দেশে রয়েছেন।

হিমেল আশরাফ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রথমত সবাই চান একটা ভালো সিনেমা বানাতে। আর ভালো সিনেমা বানাতে ভালো একটা বাজেটও প্রযোজন হয়। দ্বিতীয়ত, এই বাজারে বেশি বাজেটের সিনেমা বানিয়ে টাকা ফেরত আনা সম্ভব না। তাই এ সময়টাতে যতটা সম্ভব পৃষ্ঠপোষকদের সাহায্যে সিনেমা নির্মাণ করতে পারলে ভালো। সিস্টেম যখন পরিবর্তন হবে, তখন আবার এগুলো লাগবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘শাকিব খানের অনুদান কেন লাগে- এমন কথা আমিও শুনেছি। এর কারণ হলো রিস্ক ফ্যাক্টরটা কমিয়ে আনা। সিনেমার ব্যবসা যখন ভালো হবে, তখন আর অনুদান লাগবে না।’

মায়া সিনেমার জন্য ৬৫ লাখ টাকা পাবেন শাকিব খান। হিমেল জানান, রোমান্টিক-ড্রামা ঘরানার সিনেমা হবে মায়া। এর সঙ্গে থাকবে পিরিওডিক ব্যাপারও। চলতি বছরেই সিনেমার শুটিং শুরু করতে চান পরিচালক। পুরো কাজ হবে বাংলাদেশেই।

হিমেল বলেন, ‘সিনেমায় শাকিব খান থাকবেন, তবে তার বিপরীতে কে থাকবেন তা এখনও চূড়ান্ত করে বলতে পারছি না। আমাদের চেষ্টা থাকবে যত দ্রুত কাজটা করে ফেলা যায়।’

হিমেল আশরাফ নির্মাণ করছেন শাকিব খান প্রযোজিত আরও একটি সিনেমা, যার নাম রাজকুমার। সিনেমাটির বাংলাদেশের প্রি-প্রডাকশনের কাজ করতে আরও দুই সপ্তাহের মতো দেশে থাকবেন তিনি।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমাদের আমেরিকার প্রি-প্রডাকশন শেষ। এখন দেশেরটা করছি। আশা করছি, জুলাইয়ের শেষ দিকে বা আগস্টের প্রথম দিকে শুটিং শুরু করার। তবে এসব নির্ভর করছে আবহাওয়া, ভিসা, অনুমতির ওপর।’

রাজকুমার সিনেমায় জীবনবোধ ও বাণিজ্যিক উপাদানের মিশ্রণ করার চেষ্টা থাকবে বলে জানান পরিচালক।

হিমেল বলেন, ‘সিনেমার গল্পকেই সবচেয়ে এগিয়ে রাখব আমি। দেশের একটি প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত জায়গাগুলোর একটি ম্যানহাটনে কীভাবে একটি মানুষ পৌঁছায়, সেই জার্নিটা থাকবে। আর এ জার্নির মধ্যে উঠে আসবে জীবনবোধসহ নানাকিছু।’

হিমেলের মূল টার্গেট দেশের বাইরের দর্শকদের একটি ভালো সিনেমা উপহার দেয়া। তারা যেন বাংলাদেশের একটি ভালো সিনেমা দেখতে পারে, যেটি দেশের বাইরে বাংলাদেশের সিনেমার একটি ভালো বাজার তৈরি করতে সাহায্য করবে।

অনুদান পাওয়া প্রযোজকের মধ্যে সারা যাকের, অপু বিশ্বাসেরও নাম রয়েছে। তাদের নিয়েও একই রকমের কথা বলছেন নেটিজেনরা।

এ বিভাগের আরো খবর