সারা দেশের ৩৪টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সিনেমা বিক্ষোভ। সিনেমাটি ছাত্র আন্দোলনের ইস্যু নিয়ে নির্মিত বলা হলেও ট্রেইলার দেখে অনুমান করা যায় রাজনীতি এবং ভালোবাসার বিষয়ও আছে সিনেমায়।
সিনেমার কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন প্রযোজক সেলিম খানের ছেলে শান্ত খান। তার কণ্ঠে ট্রেইলারে একটি সংলাপ এমন, ‘পাওয়ার, পাবলিক পাওয়ার।’ অর্থাৎ সিনেমায় ছাত্রদের স্বার্থ ছাড়াও জনগণের ইস্যু জড়িয়ে আছে সিনেমার গল্পে।
সিনেমার মূল অভিনেত্রী কলকাতার শ্রাবন্তী। তার কণ্ঠে শোনা যায়, ‘শান্ত হলো এমন একজন সৈনিক, যে দেশের দোষীদের ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিল। আমাদের দেশের জন্য আরও অনেক এ রকম শান্ত প্রয়োজন।’
এই সংলাপ এমন ধারণা দেয় যে সিনেমাটিতে দেশের বিভিন্ন সমস্যায় এগিয়ে আসা এক যুবকের গল্প বলা হয়েছে। যদিও সিনেমায় স্কুল-কলেজের পোশাক পরা শিক্ষার্থীদের দেখা যায়, কিন্তু শান্তকে প্রায় পুরো ট্রেইলারেই পাওয়া গেছে সাধারণ পোশাকে।
অর্থাৎ ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ দাবিতে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন, সেই প্রেক্ষাপট সিনেমায় কিছুটা থাকলেও সিনেমার বড় অংশ গতানুগতিক ক্ষমতাসীন ও সাধারণের দ্বন্দ্ব। যেখানে নায়ক সাধারণের প্রতিনিধিত্ব করলেও তিনি এক অসাধারণ মানুষ, যিনি একাই সবকিছু করতে পারেন।
সংলাপে এ ধারণা স্পষ্ট। শান্তর সংলাপ এমন, ‘আজগর সাহেব, নিজের প্যান্ট-পাজামা শক্ত করে ধরে রাখুন। না হলে টেনে খুলে রাস্তায় ছেড়ে দেব।’
আরেকটি সংলাপ এমন, ‘শান্তর লগে পাঙ্গা আর যমের সাথে পাঞ্জা সেম টু সেম।’
এমন সংলাপই প্রতিষ্ঠা করে যে, শান্ত সাধারণের প্রতিনিধিত্ব করলেও প্রচণ্ড অসাধারণ।
ট্রেইলারের এক জায়গায় শান্ত ম্যাডাম বলে সম্মোধন করে শ্রাবন্তীকে। এ থেকে ধারণা হয় যে শিক্ষার্থী শান্ত প্রেমে পরেন শিক্ষক শ্রাবন্তীর।
শ্রাবন্তীর সংলাপে তা স্পষ্ট হয়। তিনি বলেন, ‘আমাদের এ সমাজ, সংস্কৃতি এ স্বপ্নকে পূরণ হতে দেবে না শান্ত।’ শান্ত-শ্রাবন্তীর রোমান্টিক গানও রয়েছে সিনেমায়।
‘পাবলিক পাওয়ার’-এর সিনেমা এখন পাবলিক দেখছে বা দেখবে কি না তা বোঝা যাবে আরও কয়েক দিন পর। ভারতের নামকরা শিল্পীদের নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন শামীম আহমেদ রনী।