বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কনসার্ট: বৃষ্টি দমাতে পারেনি উচ্ছ্বাস

  •    
  • ১০ জুন, ২০২২ ০২:২৫

বৃষ্টির কারণে কয়েক দফা সময় পরিবর্তন করা হয়। শেষে জানানো হয় অনুষ্ঠানের নতুন সময়সূচি আগামী শনিবার। পরে আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোক স্টুডিও বাংলা, বেঞ্চমার্ক, গ্রে বাংলাদেশসহ আয়োজক কমিটিগুলো জানায়- শো মাস্ট গো অন।

সকাল থেকেই বৃষ্টি, তা থামে সন্ধ্যার দিকে। আর সংগীতপ্রেমীরাও হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন। কারণ আর কিছু নয়, কোক স্টুডিও বাংলার কনসার্ট।

এদিকে বৃষ্টি থামলেও ভোগান্তি শেষ হয়নি। কারণ ভেন্যু রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামের মাঠ পুরোটাই কাদাময়। তবে প্রকৃতির এমন বৈরিতা দমাতে পারেনি তারুণ্যের উচ্ছ্বাস। হাজার কণ্ঠ গেয়ে উঠেছে একেক শিল্পীর গান। রাত ৯টায় শুরু হয় কনসার্ট। তা চলে প্রায় সাড়ে ১২টা পর্যন্ত।

মঞ্চে প্রথমেই পরিবেশিত হয় কোক স্টুডিও বাংলার গানগুলো। পরে মঞ্চে আসেন তাহসান, নেমেসিস, লালন, ওয়ারফেইজ এবং জেমস।

দীর্ঘদিন পর কনসার্টে অংশ নিতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠে শ্রোতা-দর্শকরা।

ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশের শিক্ষার্থী সামিহা মুনহা নাবিলা নিউজবাংলাকে নিজের অভিব্যক্তি জানিয়ে বলেন, ভেতরে দাঁড়ানোর মতো জায়গা নেই। ভেবেছিলাম কিছুটা খোলামেলা পরিবেশ হবে। কিন্তু এখানে অনেক ভিড়। তাই বের হয়ে যাচ্ছি। তবে যেটুকু সময় থেকেছি, বিপুল আনন্দ উপভোগ করেছি।’

শাহনুর আলম নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী বলেন, “অনেক দিন পর কনসার্টে আসার সুযোগ হয়েছে। অনেক ভালো লাগছে। বিশেষ করে কোক স্টুডিও বাংলার ‘আল্লাহ মেঘ দে পানি দে’ গানটি। তাছাড়া আমি তাহসান ভাইয়ের অনেক বড় ফ্যান। ওনার সব গান আমি শুনি। ধন্যবাদ কোক স্টুডিও বাংলাকে।”

দর্শক-শ্রোতাদের আরেকজন বলেন, ‘অন্য সব কনসার্ট থেকে অনেক আলাদা মনে হয়েছে আমার। এমন কনসার্ট আমরা প্রতি বছর চাই।’

কোক স্টুডিও বাংলা সিজন-১ চালু হওয়ার পর দেশে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হলো এই কনসার্ট। নানা নাটকীয়তার পর সবশেষ আর্মি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে শুরু হয় কনসার্ট।

বৃষ্টির কারণে কয়েক দফা সময় পরিবর্তন করা হয়। শেষে জানানো হয় অনুষ্ঠানের নতুন সময়সূচি আগামী শনিবার। পরে আবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোক স্টুডিও বাংলা, বেঞ্চমার্ক, গ্রে বাংলাদেশসহ আয়োজক কমিটিগুলো জানায়- শো মাস্ট গো অন।

তবে অনুষ্ঠান শুরুর ৩০ মিনিটের মধ্যেই স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে বিপাকে পড়েন কয়েক হাজার দর্শক। তাদের অনেককে স্টেডিয়ামের বাইরে থেকেই ফিরে যেতে হয়।

যাহোক, একপর্যায়ে দর্শকদের তোপের মুখে গেট খুলতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ। সেখানে ছিল না পর্যাপ্তসংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী। এতে করে টিকিট সঙ্গে না নিয়ে আসা দর্শকরা ঢুকে পড়েন স্টেডিয়ামে।

গেটে অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বিপাকে পড়েন টিকিটধারী অনেক দর্শক। ধারণক্ষমতার বেশি মানুষ ঢুকে পড়ার কারণে সাধারণ গ্যালারিসহ মাঠও পুরোপুরি ভরে যায়।

বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত হাবিবুল বাশার বলেন, ‘আমি ফ্যামিলি নিয়ে এসেছি। কিন্তু এমন পরিবেশে বউ-বাচ্চাসহ আসার মতো না। ছেলেমেয়েরা বিড়ি-সিগারেট, গাঁজা সেবনসহ যাচ্ছেতাই করে বেড়াচ্ছে। তাই বের হয়ে এসেছি।’

গেটে ঢুকতে না দেয়া ভুক্তভোগী জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমার বাসা ধানমন্ডিতে। বৃষ্টির জন্য কনসার্টের নতুন সময়সূচি জানিয়ে দেয়ায় বিকেলে বাসায় চলে যাই। পরে আবার তারা বলল আজ রাত ৮টায়ই কনসার্ট হবে। আসতে আসতে দেরি হয়েছে। এখন ভেতরে ঢুকতে দিচ্ছে না।’

এ বিষয়ে গ্রে বাংলাদেশ-এর কয়েকজন ভলান্টিয়ারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তারা কথা বলতে রাজি হননি।

পারফর্ম করতে মঞ্চে এসে কণ্ঠশিল্পী তাহসান বলেন, ‘আজ আমার জন্য বিশেষ একটা দিন। আমি নার্ভাস। কারণ আমার সঙ্গে আজ এসেছে সবচেয়ে প্রিয় একজন মানুষ।’

তাহসানের সঙ্গে আসা বিশেষ মানুষটি ছিল তার ছোট্ট মেয়ে আয়রা।

বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হওয়ায় সময়স্বল্পতার কারণে শিল্পীরা তাদের নির্ধারিত অনেক গানই পরিবেশন করতে পারেননি।

এ বিভাগের আরো খবর