প্রথবারের মতো কান চলচ্চিত্র উৎসবে অঁ সতেঁ রিগা বিভাগের প্রতিযোগিতা করছে পাকিস্তানের সিনেমা জয়ল্যান্ড। প্রদর্শনী শেষে সিনেমাটির অভিনেতা-অভিনেত্রীরা দর্শক ও জুরিদের কাছ থেকে স্ট্যান্ডিং ওভেশন পেয়েছেন।
তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সিনেমাটির শিল্পীরা। জয়ল্যান্ড-এর অভিনেত্রী সারওয়াত গিলানি বলেন, ‘একটি স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’
উচ্ছ্বসিত গিলানি বলেন, ‘মানুষ যে কঠোর পরিশ্রম করে, পাকিস্তানে শিল্পী হিসেবে আমরা যে সংগ্রামের মুখোমুখি হই, সেগুলো সবই মূল্যবান বলে মনে হয়েছিল।’
আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জয়ল্যান্ড সিনেমাটি পাকিস্তানের লিঙ্গ বৈষম্য দূর করার গল্প।
জয়ল্যান্ড-এ নুচি চরিত্রে অভিনয় করেছেন গিলানি।
নুচি এমন একটি পরিবারের সদস্য, যারা বংশ রক্ষার জন্য একটি পুত্রসন্তানের আশা করছিলেন, কিন্তু নুচি পরপর তিনটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। এতে তার রক্ষণশীল শ্বশুর খুশি নন।
এদিকে নুচির দেবর হায়দার গোপনে একজন ট্রান্সজেন্ডার নারী বিবার প্রেমে পড়েন, যিনি একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে কাজ করার অধিকারের জন্য লড়াই করেন।
‘জয়ল্যান্ড’-এর শিল্পী ও কলাকুশলীরা। ছবি: এফপি
জয়ল্যান্ড একটি কর্মজীবী নারীদের হতাশাকেও অন্বেষণ করে। হায়দারের স্ত্রী মমতাজ এক মেকআপ আর্টিস্ট, কিন্তু গৃহস্থালির কাজের জন্য বাধ্য হয়ে তাকে সেই কাজ ছাড়তে হয়। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।
গিলানি বলেন, ‘এটা আর শুধু প্রেমের গল্প নয়। এটি বাস্তব জীবনের সমস্যা যা আমরা সবাই অতিক্রম করি।’
গিলানি আশা করেন পাকিস্তানি দর্শক ও সমালোচকরা জয়ল্যান্ডকে কানের মতোই উষ্ণ অভ্যর্থনা দেবেন।
তিনি বলেন, ‘আমি খুব আশাবাদী যে অন্তত আমাদের লোকেরা বুঝতে পারবে যে এটিও এক ধরনের সিনেমা যা সফল হতে পারে। যদি বিশ্বব্যাপী হয় তাহলে স্থানীয়ভাবে ও জাতীয়ভাবে কেন নয়।’