বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

চেহারার চেয়ে দৈনন্দিন জীবন বিশ্বাসযোগ্য করাই মূল কাজ: জেমী

  •    
  • ২৬ মে, ২০২২ ১৬:২৭

জেমী লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে রূপদানকারী আরিফিন শুভর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কতটা মিল-অমিল সে নিয়ে সমালোচকরা ব্যস্ত হয়ে গেছেন। এখানে মূলত দেখা উচিত আরিফিন শুভ তার অভিনয়শৈলী দিয়ে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রকে কতটা সার্থক রূপ দিতে পেরেছেন।’

১৯ মে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনীভিত্তিক সিনেমা মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন এর ট্রেলার প্রকাশ পায়। তার পর থেকেই ট্রেলারে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করা আরিফিন শুভর কণ্ঠ, ভিএফএক্স, ইতিহাসের সঙ্গে দৃশ্যের অসামঞ্জস্যতা আছে বলে দাবি করেন সমালোচকেরা।

সম্প্রতি সমালোচনা নিয়ে কথা বলেছেন সিনেমার লাইন প্রোডিউসার মোহাম্মদ হোসেন জেমী। তিনি এখন আছেন আমেরিকার জর্জিয়াতে। সেখানে বসেই নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লিখেছেন নিজের মতামত।

বইয়ের প্রচ্ছদ দেখে গোটা বইকে বিচার করা ঠিক নয়- উদাহরণ দিয়ে জেমী লিখেছেন, ‘যার জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র তার ভূমিকায় অভিনয় করা শিল্পীকে হুবহু যে তারই মতো দেখতে হবে এমনটি ঠিক নয়।’

গান্ধী সিনেমায় গান্ধীর চরিত্রে রূপদানকারী বেন কিংসলেকে গান্ধীর মতোই দেখতে লেগেছে উল্লেখ করে জেমী লেখেন, ‘এটা ব্যতিক্রমী উদাহরণ। অনেক চলচ্চিত্র আছে, যার জীবনী নিয়ে চলচ্চিত্র তার সঙ্গে রূপদানকারী শিল্পীর চেহারা এবং শারীরিক গঠনের মিল নেই। যেমন ম্যালকম এক্স (১৯৯২) বায়োপিকে ডেনজেল ওয়াশিংটন, ইনভিকটাস সিনেমায় মরগান ফ্রিম্যানের সঙ্গে মূল মানুষগুলোর চেহারা এবং শারীরিক গঠনের অনেক পার্থক্য রয়েছে।’

বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্র সঞ্জু এর উদাহরণ দেন জেমী। লেখেন, ‘সঞ্জয়ের বাবা সুনীল দত্তের চরিত্রে রূপদানকারী অভিনয়শিল্পী পরেশ রাওয়ালের বিন্দুমাত্র মিল নেই।’

জেমীর মতে, সিনেমায় চেহারার মিল এবং শারীরিক গঠন মুখ্য নয়। যার জীবন নিয়ে চলচ্চিত্র তার প্রকৃত জীবন ইতিহাস, চারিত্রিক বৈশিষ্ট এবং দৈনন্দিন জীবনের খুঁটিনাটি অভ্যাসগুলো বিশ্বাসযোগ্য করে গড়ে তোলাই সেই চরিত্রে রূপদানকারী শিল্পীর মূল কাজ।

জেমী লেখেন, ‘বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে রূপদানকারী আরিফিন শুভর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর কতটা মিল-অমিল সে নিয়ে সমালোচকরা ব্যস্ত হয়ে গেছেন। এখানে মূলত দেখা উচিত আরিফিন শুভ তার অভিনয়শৈলী দিয়ে বঙ্গবন্ধুর চরিত্রকে কতটা সার্থক রূপ দিতে পেরেছেন।’

ভিএফএক্স নিয়ে কথা বলেছেন জেমী। ট্রেলারের অনেক কারিগরি অংশের সমালোচনাকে ভিত্তিহীন এবং সিনেমা না বোঝার অপরিপক্বতা হিসেবে বলতে চেয়েছেন লাইন প্রোডিউসার।

তিনি লেখেন, ‘একটি গড় হিসাবে দেখা গেছে, হলিউডের চলচ্চিত্রে যদি প্রতি মিনিটে $1000 এর উৎপাদন বাজেট থাকে, তাহলে সম্ভবত VFX এর জন্য প্রতি মিনিটে $2000-$5000 খরচ করা হয়। খুব চোখ ধাঁধানো এবং বিশ্বাসযোগ্য ভিএফএক্সে ভরপুর চলচ্চিত্রে মোট প্রোডাকশন খরচের দুই থেকে পাঁচ গুণ বেশি খরচ করা হয় শুধু ভিএফএক্সের জন্য। এই হিসাবের নিরিখে মুজিব চলচ্চিত্রের মোট বাজেট এবং তার জন্য ভিএফএক্সের খরচের ওপর নির্ভর করছে গুণগত মান।’

গান্ধী ছবিতেও অনেক ডিটেইলে ভুল রয়ে গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। জেমীর দাবি, ‘গান্ধী সিনেমায় এমন অনেক ভুল আছে, যেগুলো ইতিহাস বিকৃতির পর্যায়ে পড়ে। এ ছাড়া ছবির কন্টিনিউটিতে আছে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভুল। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির সময় পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলনের দৃশ্যে পাকিস্তানের জাতীয় সংগীত ব্যাকগ্রাউন্ডে সংযোজিত হয়েছিল। অথচ সেই সংগীতটি তৈরি হয়েছিল ১৯৪৯ সালে।’

মুজিব চলচ্চিত্রেও কিছু ভুল থাকতেই পারে বলেও মনে করেন তিনি। তবে সেগুলো অতিক্রম করে বাঙালির চেতনা এবং মননে বঙ্গবন্ধুর প্রতি যে গভীর শ্রদ্ধা আছে সেটা সমুন্নত থাকবে বায়োপিকে, সেই প্রত্যাশা তার।

পাশাপাশি তিনি চলচ্চিত্রের মুক্ত সমালোচনায় বিশ্বাসী বলে নিজেতে দাবি করেছেন। লিখেছেন, ‘সবার জন্য আহ্বান থাকবে চলচ্চিত্রটি মুক্তির পরে এক বা একাধিকবার দেখে চলচ্চিত্রটির গঠনমূলক সমালোচনা করার জন্য।’

এ বিভাগের আরো খবর