বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নুহাশের খবরটি কেন গুরুত্বপূর্ণ? রেজার ব্যাখ্যা

  •    
  • ১৮ মে, ২০২২ ১৭:৩৩

‘নুহাশ হুমায়ূনকে যিনি রিপ্রেজেন্ট করছেন তিনি রিপ্রেজেন্ট করেন অরিজিনাল স্পাইডার-ম্যান ট্রিলজি, ডক্টর স্ট্রেঞ্জ মাল্টিভার্সের নির্দেশক স্যাম রাইমিকে। তার মানে এই মুহূর্তে স্যাম রাইমির যেই রিসোর্স, নুহাশের একই রিসোর্স।’

নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূনের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে আমেরিকান অ্যানোনিমাস কনটেন্ট এবং ক্রিয়েটিভ আর্টিস্ট এজেন্সির (সিএএ)। এ খবরটি কতটা বড় বা কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটাই ব্যাখ্যা করেছেন চলচ্চিত্রকার ওয়াহিদ ইবনে রেজা।

টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স, ইউনিভার্সাল পিকচার্স, মার্ভেল স্টুডিওস, ডিসি এন্টারটেইনমেন্ট, সনি পিকচার্সের সিনেমায় কাজ করা ওয়াহিদ ইবনে রেজা তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে লিখেছেন সে ব্যাখ্যা।

খবরটির তাৎপর্য তুলে ধরে রেজা লেখেন, ‘পশ্চিমা দেশে আপনি যদি ক্রিয়েটিভ লাইনে উচ্চ পর্যায়ে কাজ পেতে চান তাহলে আপনার একজন এজেন্ট বা ম্যানেজার লাগবে। তাদের কাজই হচ্ছে আপনার জন্য কাজ খুঁজে আনা। কারণ আপনার ফি এর ১০-১৫% তারা পাবে। আপনি যত কাজ পাবেন তাদের লাভ তত। হলিউডে কোনো বড় কাজ এজেন্ট বা ম্যানেজার ছাড়া হয় না। কেউ কথাই বলবে না আপনার সঙ্গে।

‘তো এই এজেন্সিগুলোর মধ্যে সিএএ হচ্ছে সবচেয়ে বড় এজেন্সিগুলোর মধ্যে একটা। এরা এতই বড় যে সরাসরি আপনি এদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না। মানে, তারা তখনই আপনার কাছে আসবে যখন তাদের কোনো বর্তমান ক্লায়েন্ট আপনাকে তাদের কাছে রেফার করে। নুহাশ হুমায়ূনকে যিনি রিপ্রেজেন্ট করছেন, তিনি সরাসরি কাকে রিপ্রেজেন্ট করে জানেন? অরিজিনাল স্পাইডার-ম্যান ট্রিলজি, ডক্টর স্ট্রেঞ্জ মাল্টিভার্স-এর নির্দেশক স্যাম রাইমিকে! তার মানে এই মুহূর্তে স্যাম রাইমির যেই রিসোর্স, আমাদের নুহাশের একই রিসোর্স। ব্যাপারটা কি কল্পনা করতে পারছেন? ব্যাপারটা কেউ ভেরিফাই করতে চাইলে আইএমডিবি প্রো অ্যাকাউন্টে দেখে নিতে পারেন।

রেজা আরও লেখেন, ‘এই অভাবনীয় রিসোর্সের সদয় ব্যবহার যে এখনই শুরু হয়ে গেছে তার প্রমাণটা কি জানেন? অ্যানোনিমাস কনটেন্ট, যারা কিনা মি. রোবট, ট্রু ডিটেকটিভ-এর মতো সিরিয়ালের পেছনের প্রোডাকশন কোম্পানি, তারা নুহাশকে সাইন করেছে। এর মানে কী? তারা নুহাশের নেক্সট প্রজেক্ট প্রডিউস করতে চাচ্ছে। কেন করতে চাচ্ছে তারা? কারণ তারা দেখেছে, নুহাশ বাংলাদেশে বসে একটি হাই কনসেপ্টের সিনেমা বানিয়েছে, যা বাণিজ্যিকভাবে সফল হওয়ার ক্ষমতা রাখে, পাশাপাশি আর্টিস্টিক ভ্যালু ক্যারি করে। আজকে কোরিয়ান ফিল্মমেকাররা, মেক্সিকান ফিল্মমেকাররা যা করছে, তা আগামীতে নুহাশ করতে পারবে, সেটা ধারণা করেই এত বড় প্রতিষ্ঠান তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এটা যে কী বিশাল একটা ব্যাপার, আমি ভাষায় বোঝাতে পারছি না।’

নুহাশ পরিচালিত মশারী সিনেমাটি সাউথ বাই সাউথ ওয়েস্ট চলচ্চিত্র উৎসব এবং আটলান্টা চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হওয়া নিয়ে রেজা লেখেন, ‘পৃথিবীতে ৭০০০ ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল আছে, যারা রেজিস্টার্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল। এর মধ্যে মাত্র ৬৩টি ফেস্টিভ্যাল, মানে মাত্র ০.৯ শতাংশ হচ্ছে অস্কার কোয়ালিফায়িং। অস্কার কোয়ালিফায়িং ফেস্টিভ্যাল মানে কী? মানে, এই ফেস্টিভ্যালে যদি কোনো ফিল্ম কম্পিটিশনে যেতে, শুধু অংশগ্রহণ কিন্তু নয়, শুধুমাত্র যদি বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায়, তবে সেই ফিল্মটি অটোমেটিক্যালি অস্কারের দৌড়ে চলে আসবে। তার মানে ধরে নেয়া হবে যে এই বছর সারা পৃথিবীতে যতগুলো শর্ট ফিল্ম হয়েছে, তাদের মধ্যে এই ফিল্মগুলো শ্রেষ্ঠ। এরপর এখন থেকে আস্তে আস্তে শর্টলিস্ট হতে হতে অস্কারের নমিনেশন আসে।

‘এখন এ রকম ফেস্টিভ্যালে শ্রেষ্ঠ হয় কী করে একটা ফিল্ম? সাধারণত এ রকম বড় ফেস্টিভ্যালে গড়ে ৩০০০ করে শর্টফিল্ম জমা পড়ে। সেখান থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি মিলিয়ে হয়তো ১০টা ফিল্মকে শ্রেষ্ঠ পুরস্কার দেয়া হয়। তার মানে মাত্র ০.৩৩ শতাংশ ফিল্ম এই সম্মান পায়। এখন একই সঙ্গে অস্কার কোয়ালিফাইং ফেস্টিভ্যালে অংশ নিয়ে, সিলেক্ট হয়ে পুরস্কার জেতার চান্স তাহলে গাণিতিকভাবে দাঁড়ায় ০.৯% x ০.৩৩% = .০০২৯৭%। এই জন্য এই অস্বাভাবিক বাজি যারা জিতে নেয়, তাদেরকে বলা হয় বেস্ট অফ দ্য বেস্ট।’

সব শেষে নুহাশকে ধন্যবাদ দিয়েছে ওয়াহিদ ইবনে রেজা। অনেক আগ্রহ নিয়ে তিনি নুহাশের পরবর্তী জাদু দেখার জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন। পাশাপাশি জানিয়েছেন শুভকামনা।

এ বিভাগের আরো খবর