“গিয়াস উদ্দিন সেলিম পরিচালিত এবং চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত, এতটুকু শুনেই পাপ পুণ্য সিনেমার জন্য নিজেকে বিক্রি করে দিয়েছি। পরে যুক্ত হলেন আফসানা মিমি। আমরা যারা ‘নাইন্টিজ কিডস’ তাদের কাছে মিমি আপা মানে অন্যরকম কিছু, বিশেষ করে তার হাসি।”
পাপ পুণ্য সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ হিসেবে এসব কথা বলেন অভিনেতা সিয়াম। ২০ মে সিনেমাটি দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তি পাচ্ছে। সে উপলক্ষে সোমবার দুপুরে চ্যানেল আই ভবনে ছিল সংবাদ সম্মেলন।
আয়োজনে সিয়াম আরও বলেন, ‘মনপুরা সিনেমাটি আমি আমার বাবা-মাকে নিয়ে দেখেছিলাম। সেই সিনেমার অভিনয়শিল্পী, সেই সিনেমার পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা যে কত স্পেশাল, সেটা বোঝানো যাবে না।’
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মামুনুর রশীদ, আফসানা মিমি, শাহনাজ সুমি, চঞ্চল চৌধুরী এবং সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইমপ্রেস টেলিফিল্মের পরিচালক জহির উদ্দিন মাহমুদ মামুন।
পাপ পুণ্য সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
সিনেমায় মামুনুর রশীদ অভিনয় করেছেন জনপ্রতিনিধির চরিত্রে। তিনি বলেন, ‘গিয়াস উদ্দিন সেলিমের মনপুরা সিনেমায় কাজ করেছিলাম। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছি। তাই সেলিমের সিনেমা শুনে আর না করিনি। কাজ তো করে ফেলেছি, এখন দর্শকদের দেখার পালা।’
পাপ পুন্য সিনেমার মাধ্যমে অনেক দিন পর অভিনয়ে এবং বড় পর্দায় ফিরলেন অভিনেত্রী আফসানা মিমি। তিনি বলেন, ‘সিনেমাটি আমার ফেরার জন্য ভালো একটি সুযোগ বলে মনে করেছি। সিনেমাটির পরিচালক আমার বন্ধু। তার প্রথম লেখায় কাজ করেছি, তার প্রথম পরিচালনাতেও কাজ করেছি। চঞ্চল যখন কাজ শুরু করেছে তখন আমি কিছুটা আড়ালে চলে গেছি। তার সঙ্গেও কাজ করার সুযোগ পাওয়া গেল এ সিনেমার মাধ্যমে। সিনেমায় চঞ্চল ও আমার সম্পর্কটা অনেক জটিল, তাই আমাদের অনেক ভালো ভালো দৃশ্য রয়েছে। আশা করছি দর্শকদের ভালো লাগবে।’
পাপ পুণ্য সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রের লুক। ছবি: সংগৃহীত
অভিনেত্রী শাহনাজ সুমি জানান, শুটিং সেটে সবাই তাকে অনেক সাহায্য করেছেন, তাই সেখানে কোনো অসুবিধাই হয়নি। তবে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার আগে তাকে কেউ সাহায্য না করায় তিনি অনেক নার্ভাস। তাই বেশি কথা বাড়াননি তিনি।
চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘সেলিম ভাই এবং আমি অনেক কাজ করেছি। তার সঙ্গে আমার রসায়নটাই অন্যরকম। পাপ পুণ্য সিনেমার গল্পটা অসাধারণ। আমি তো সেলিম ভাইকে শুটিং সেটে বলেছিলাম, মনপুরার পরপরই এ সিনেমাটি করে ফেলা দরকার ছিল।’
পাপ পুণ্য সিনেমার সিয়াম ও সুমি। ছবি: সংগৃহীত
নিজের চরিত্র নিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘আমার করা চরিত্রটি বেশ বয়সী। এটাই আমার চ্যালেঞ্জ। আমি ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে কাজ করতেও পছন্দ করি।’
দর্শকদের উদ্দেশ করে চঞ্চল জানান, দর্শকরা সিনেমা দেখলেই সিনেমাশিল্প এগিয়ে যাবে। আর চঞ্চল তার অভিনীত কোনো সিনেমাতেই দর্শকদের নিরাশ করেননি। এ সিনেমায়ও নিরাশ করবেন না বলে আশ্বস্ত করেন।