বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সাক্ষাৎকারের প্রশ্নে বিরক্ত নুহাশ

  •    
  • ২৬ এপ্রিল, ২০২২ ২২:৩১

নুহাশ হুমায়ূন লিখেছেন: “বাংলাদেশে রিপোর্টিং যদি আরেকটু সম্মানজনক হতো! একটু আগে আমি প্রথম আলোর লাইভ ইন্টারভিউতে ছিলাম; ভেবেছিলাম ‘ষ’ নিয়ে কথা হবে। সেখানে আমাকে প্রশ্ন করা হলো, যদি আমার বাবা (হুমায়ূন আহমেদ) না হতেন, তাহলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম কি না?”

দৈনিক প্রথম আলোর একটি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে তাকে করা প্রশ্ন নিয়ে চরম বিরক্তি প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র নির্মাতা নুহাশ হুমায়ূন। মঙ্গলবার রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া পোস্টে তিনি এ বিরক্তি প্রকাশ করেন।

নুহাশ ইংরেজিতে লিখেছেন: ‘বাংলাদেশে রিপোর্টিং যদি আরেকটু সম্মানজনক হতো! একটু আগে আমি প্রথম আলোর লাইভ ইন্টারভিউতে ছিলাম; ভেবেছিলাম ষ নিয়ে কথা হবে। সেখানে আমাকে প্রশ্ন করা হলো, যদি আমার বাবা (হুমায়ূন আহমেদ) না হতেন, তাহলে আমি এই অবস্থানে আসতে পারতাম কি না?

‘আমি সত্যিই জানি না আপনি (সঞ্চালক) কীভাবে একজন আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত, পুরস্কারজয়ী চলচ্চিত্র নির্মাতাকে এমন কিছু জিজ্ঞাসা করতে পারেন।

‘তোমাদের কি মনে হয় সানডান্স, বুসান, এসএক্সএসডব্লিউ, মার্শে দ্যু ফিল্ম বাপের নাম দেখে প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ করে?’

নুহাশ হুমায়ূন ও গুলতেকিন খানের পোস্টের স্ক্রিন শট। ছবি: সংগৃহীত

দৈনিক প্রথম আলোর অনলাইন ভিত্তিক আলোচনার আয়োজন ‘মেরিল ক্যাফে লাইভ’ অনুষ্ঠানে মঙ্গলবার রাতে অতিথি হিসেবে এসেছিলেন নুহাশ। যেটি প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ থেকে প্রচার করা হয় মঙ্গলবার রাত ৮টায়। আয়োজনে সঞ্চালক হিসেবে ছিলেন সারা ফ্যায়রুজ যাইমা। তিনি আলোচনা শুরু করেন নুহাশের নির্মিত নতুন সিরিজ পেট কাটা ষ নিয়ে।

২৮ মিনিট ৫১ সেকেন্ডের আয়োজনে ১১ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে সঞ্চালক নুহাশের কাছে প্রশ্ন করেন, ‘যদি আপনি নুহাশ হুমায়ূন না হতেন, হুমায়ূন পুত্র না হতেন, তাহলে কি আপনি যেখানে ছিলেন সেখানে থাকতেন বলে মনে হয়?’

উত্তরে নুহাশ বলেন, ‘জানি না, আমি শেষ যে পাঁচটি ইন্টারভিউ করলাম, আমি খুব ইউজ টু হয়ে গেছি, এ জিনিসগুলো আসে না, খুবই আরাম লাগে। ইন্টারন্যাশনালি সবাই আমাকে আমার কাজের জন্য চেনে। এটা আমাদের কালচারাল একটা জিনিস, আমরা আমাদের আর্টিস্টদের কাজের থেকে তাদের পার্সোনাল লাইফে ইন্টারেস্টেটা বেশি। এ প্রশ্নটা মিডিয়া থেকে বেশি আসে। মিডিয়া এ রিপোর্টগুলো করতে পছন্দ করে বেশি, আর অ্যাকচুয়াল কাজের সাকসেস নিয়ে কথা বলে না।

‘আমি ইন্টারনাশনালি সেলিব্রেটেড ফিল্মমেকার। ওখানে ফ্যামিলি ট্যামিলি নিয়ে ভাবার স্পেস নাই।’

অনুষ্ঠানে নুহাশ (বাঁয়ে) ও সঞ্চালক। ছবি: সংগৃহীত

ভালো লাগা কাজ করে কি না জানতে চাইলে নুহাশ জানান, তিনি খুব গর্বিত হন যখন কেউ তার পরিবার সম্পর্কে জানতে পারেন এবং বিস্ময় প্রকাশ করেন।

ওই ইন্টারভিউ প্রচার হওয়ার পরপরই নুহাশ ওই প্রশ্নে বিরক্তি প্রকাশ করে ফেসবুকে স্টেটাস দেন। নুহাশের স্ট্যাটাসের নিচে মন্তব্যের ঘরে তার মা গুলতেকিন খান ছেলেকে সান্ত্বনা দিয়ে ইংরেজিতে লেখেন: ‘আপসেট হয়ো না বাবা। এ জন্যই আমি কোনো পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দেই না। তারা অনেকভাবে চেষ্টা করে, কিন্তু আমি বলি আমাকে মেইলে প্রশ্ন পাঠান। আমি দেখি কিছু প্রশ্নের পর তারা আমার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করে। এদের অনেকের ইচ্ছা থাকে এক পক্ষের কথা নিয়ে লিখে দিতে। এটা কি পেশাদারিত্ব?’

এ বিভাগের আরো খবর