বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মিষ্টি পোলাও-মাটন ও বাসি পরেজ খেয়ে ঈদে কেঁদেছিলেন জয়া

  •    
  • ২৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:৪৭

কাজে ফাঁক পেলে আলসেমি করেন জয়া। বাড়িতে যারা রয়েছেন, মা, ভাইবোন, তাদের সঙ্গে সময় কাটান। সেটাই তার জীবনীশক্তি নতুন নতুন কাজ করার।

ঈদ আর বৈশাখ দেশের বাইরে আর কখনই না- এমনটাই জানালেন জয়া আহসান। এর পেছনে রয়েছে জয়ার অশ্রুসিক্ত অভিজ্ঞতা। একবার কলকাতায় তার ঈদ কাটাতে হয়েছিল। ঈদের দিন তার মেন্যুতে ছিল মিষ্টি পোলাও, মাটন আর বাসি পরেজ।

হয়তো মায়ের হাতের খাবারের কথা মনে পড়ছিল অভিনেত্রীর। সেদিন কাঁদতে হয়েছিল জয়ার।

ঈদ কোথায় করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে শনিবার রাতে এসব কথা জানান জয়া আহসান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ঈদ আর পয়লা বৈশাখ অতি অবশ্যই বাংলাদেশে। আর কোনো কথা হবে না।’

জয়াকে যারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফলো করেন, তারা সব সময় জয়ার আপডেট পান। অভিনেত্রী কখন কোথায় আছেন, কখন শুটিং করছেন, কখন জিম করছেন, ছাদবাগানে চাষাবাদ করছেন কখন, সবই তার ভক্তদের জানান জয়া।

যা সবাই নেট দুনিয়ায় দেখেন, এর বাইরেও জয়ার সাধারণ একটি জীবন আছে। তিনি নাকি খুব অলস প্রকৃতির। তার ভাষ্যে, ‘পায়ের নিচে সরষে দিয়ে ঘুরে বেড়াই আমি। কলকাতা গেলে এয়ারপোর্ট থেকে নেমে সরাসরি আমি কাজে চলে যাই। দম ফেলবার সময় থাকে না যেন।’

কাজে ফাঁক পেলে আলসেমি করেন জয়া। বাড়িতে যারা রয়েছেন, মা, ভাইবোন, তাদের সঙ্গে সময় কাটান। সেটাই তার জীবনীশক্তি নতুন নতুন কাজ করার।

অভিনেত্রী, প্রযোজক জয়া আহসান। ছবি: নিউজবাংলা

অনেকগুলো সিনেমার কাজে ব্যস্ত জয়া। তার অভিনীত কলকাতার বেশকিছু সিনেমা আছে মুক্তির অপেক্ষায়। বাংলাদেশে সিনেমায় অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনাতেও ব্যস্ত জয়া। রইদ নামের একটি সিনেমার প্রযোজক তিনি।

সিনেমাটির কাজ শিগগিরই শুরু হচ্ছে না জানিয়ে জয়া বলেন, ‘পরিচালক মেজবাউর রহমান সুমন সিনেমাটিতে একটি সিজন ধরতে চান। আমরা পুরো বিষয়টা তার ওপরই ছেড়ে দিয়েছি। তিনি ভালো বলতে পারবেন।’

করোনার সময় অনেকটা সময় বিরতিতে ছিল পুরো পৃথিবী। ধারণা করা হচ্ছিল, এ বিরতিতে ভালো কিছু গল্প বা চিত্রনাট্য তৈরি হবে। জয়ার মতে কিছু জায়গায় এমন হয়েছে।

নিজের প্রযোজিত এবং অভিনীত ছবির নাম চূড়ান্ত না হওয়া একটি সিনেমার উদাহরণ দিয়ে জয়া বলেন, ‘কিছু জায়গায় আমি এমনটা দেখেছি। আমরা পিপলু আর খানের পরিচালনায় একটি সিনেমা নির্মাণ করেছি। কিছু সিনেমা আছে যেটা সেই সময়েই করতে হয়।’

অভিনেত্রী, প্রযোজক জয়া আহসান। ছবি: নিউজবাংলা

ভিন্ন গল্প ও ভিন্ন রকম কাজের ক্ষেত্র কিছুটা ভাগ হয়ে গেছে বলে মনে করেন জয়া। পড় পর্দার সিনেমার পাশাপাশি এখন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিচিত্র রকমের গল্পের প্রাধান্য বেশি। অভিনয়শিল্পী থেকে শুরু করে পরিচালকরাও ওটিটিতে ঝুঁকেছেন বেশি। নতুন কিছুকে বরণ করেই নিতে চান এ অভিনেত্রী।

তবে জয়াকে সহসাই দেখা যাচ্ছে না ওটিটিতে। তিনি বলেন, ‘অনেক প্রস্তাবই আসে আমার কাছে, কিন্তু এখনই পাতে তুলবার মতো কোনো কিছু পাইনি।’

সম্প্রতি ভারতের ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জিতে হ্যাটট্রিক করেছেন জয়া। পরপর তিনবার তিনি পেলেন এ পুরস্কার। এগুলোকে বাড়তি পাওয়া মনে করেন জয়া।

বাসায় নাকি অ্যাওয়ার্ডগুলো চোখের সামনে রাখেন না জয়া, তার লজ্জা লাগে, মনে হয় এগুলোর যোগ্য তিনি নন। ভালো লাগে তখনই, যখন অভিনেত্রীর মা তার আঁচল দিয়ে পুরস্কারগুলো পরিষ্কার করেন। জয়া বলেন, ‘আমি সারা জীবন শিক্ষার্থী থাকতে চাই, শিখতে চাই, শিক্ষক হতে চাই না।’

কলকাতা-বাংলাদেশে অভিনয়, পুরস্কার, প্রযোজনার মতো কত কত কঠিন কাজ করছেন জয়া। একদিকে যখন সংস্কৃতির চর্চা করছেন ভালো সময় ও সমাজের জন্য, তখন অন্যদিকে দেশে নানা রকম সাম্প্রদায়িক সহিংসতা, মানুষে মানুষে দ্বন্দ্ব, অনৈতিকতার ঘটনা দেখা যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

এসব ঘটনা দেখে বা পড়ে নিজের পরিশ্রমকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন জয়া? বলেন, ‘একটি দেশের পরিচয় সে দেশের সংস্কৃতি কেমন। কিছু ক্ষেত্রে আমরা অবশ্যই ব্যর্থ। তবে একটি জিনিস মনে রাখতে হবে, শিল্প এবং সংস্কৃতিকে পৃষ্ঠপোষকতা দিতে হবে, পরিচর্যা করতে হবে। শিল্পী একা সব সময় সবকিছু করতে পারেন না, একা যুদ্ধ করে গোটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারেন না। কিন্তু আমাদের চেষ্টা করতে হবে, আমাদের যোদ্ধা হতে হবে, সেখানে আমাদের সহযোদ্ধা চাই।’

ফেরেশতে সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে জয়া আহসানসহ অন্যান্যরা। ছবি: সংগৃহীত

ইরান-বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ফেরেশতে অভিনয় করছেন জয়া আহসান। বাংলা ভাষায় নির্মিত হলেও ফেরেশতে একটি ইরানি সিনেমা।

এ সিনেমা নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় অনেক কথাই বলেছেন জয়া আহসান। তবে খুব গুরুত্ব দিয়ে যেটা তিনি বলেছেন, সেটা হলো, ‘এ সিনেমাটা করতে গিয়ে যেটা মনে হয়েছে, আমরা তো ফেস্টিভ্যালে বা পশ্চিমা দেশগুলোতে যখন বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই, তখন নেগেটিভ (নেতিবাচক) দিকগুলো বা দুর্দশা-হতাশা গল্পগুলো তুলে ধরি।

‘কিন্তু ফেরেশতে সিনেমার একটি বড় বিষয় হলো, সিনেমাটি আন্ডার প্রিভিলেজড (পিছিয়ে পড়া) লোকদের গল্প হলেও হতাশার গল্প না। আমার মনে হয়েছে পরিচালক কোনো ইস্যুভিত্তিক সিনেমা বানাচ্ছেন না। যেটা আমার কাছে শক্তিশালী মনে হয় এবং এটা উল্লেখ করার মতো।’

এ বিভাগের আরো খবর