বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বর্ষবরণে বৃষ্টির বাগড়া

  •    
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ১২:১৬

আনন্দলোকের পরিচালক রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রানা কুমার সিনহা বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতা ও কুপমণ্ডূকতামুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যাশায় আমরা এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।’

বৈশাখের প্রথম দিন সিলেট ভিজল বৃষ্টিতে। রমজান মাস হওয়ায় এমনিতেই বর্ষবরণের আয়োজন ছিল সীমিত। তার ওপর বৃষ্টি হওয়ায় উৎসবের আমেজ অনেকটাই ম্লান হলো।

সিলেট বিভাগজুড়েই ভোর থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি। জেলা শহরে পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান তাই শুরু হয় সকাল ৯টারও পরে। নগরবাসীর উপস্থিতিও ছিল কম।

সিলেট জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে সকালে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। তাতে যোগ দেন বিভাগীয় কমিশনার মো. মোশাররফ হোসেন ও জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।

বর্ণিল এই শোভাযাত্রা রিকাবীবাজার এলাকার কবি নজরুল অডিটরিয়ামের মুক্তমঞ্চে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে জেলা শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে চলছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বাউলগান, কাঠি ও ঝুমুর নৃত্য, মণিপুরি নৃত্য ও লোকগানে মেতে ছিলেন দর্শক।

বৃষ্টির কারণে আনন্দলোকের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানও যথাসময়ে শুরু হয়নি। সকাল ১০টায় নগরের শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজ মাঠে শুরু হয় তাদের আয়োজন।

সে আয়োজনে আসা শায়লা খানম বলেন, ‘বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। সব বাঙালির উৎসব। গত দুই বছর করোনার কারণে আমরা এই আয়োজন মিস করেছি। তবে অনুষ্ঠানে আসতে পেরে ভালো লাগছে।’

আনন্দলোকের পরিচালক রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী রানা কুমার সিনহা বলেন, ‘বর্ষবরণ বাঙালির অসাম্প্রদায়িক উৎসব। প্রাণে প্রাণ মেলানোর এই উৎসব বাঙালির আবহমানকালের। সাম্প্রদায়িকতা ও কুপমণ্ডূকতামুক্ত বাংলাদেশের প্রত্যাশায় আমরা এবারের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি।’

নগরের ব্লু-বার্ড স্কুলমাঠে ‘ফিরে চল মাটির টানে’ এই আহ্বানে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান করেছে সাংস্কৃতিক সংগঠন শ্রুতি। সেখানেও উপস্থিতি তুলনামূলক কম।

শ্রুতির আয়োজন দেখতে গিয়ে সজল বণিক বলেন, ‘একে তো বৃষ্টির কারণে অনুষ্ঠান দেরিতে শুরু হয়েছে, তার ওপর দুপুরেই শেষ হয়ে যাবে। অনুষ্ঠান সারা দিন চললে আরও ভালো লাগত।’

এ বিভাগের আরো খবর