সময় ছুটে চলে। এক প্রান্ত থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় আরেক প্রান্তে। প্রান্ত বা ক্রান্তির শেষ অংশটিই হলো সংকান্তি।
এক সংক্রান্তি থেকে আরেক সংক্রান্তিতে ঘটে যায় কত কিছু। ব্যক্তিগত জীবন থেকে জাতীয় জীবনের নানা ঘটনার প্রভাব পড়ে মানুষের জীবনে। সেই প্রভাব যদি হয় খারাপ, তাহলে সেখান থেকে বের হওয়ার আকুতি থাকে সবার। আর প্রভাব হয় যদি ভালো, তাহলে তা যেন থাকে বহমান, সেই প্রত্যাশা করেন সবাই।
বাঙালি জীবনে বাংলা সালের শেষ দিন বা চৈত্র সংক্রান্তির গুরুত্ব অনেক। বছরের শেষ দিনে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাঙালিরা প্রকাশ করেন খারাপ থেকে বের হওয়ার আকুতি বা ভালোকে বহমান রাখার প্রত্যাশা।
বাঙালি ঐতিহ্যের এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল জাতীয় শিল্পকলা অ্যাকাডেমিতে।
বুধবার সন্ধ্যায় শিল্পকলা অ্যাকাডেমি ও গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের আয়োজনে পরীক্ষণ থিয়েটারে অনুষ্ঠিত হয় চৈত্র সংক্রান্তির আয়োজন।
আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সভাপতি ও শিল্পকলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস, বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব আতাউর রহমান।
সবার কণ্ঠেই ছিল অসাম্প্রদায়িক দেশ গড়ে তোলার আহ্বান। করোনা মহামারি থেকে যেন নতুন দিনের দিকে, ভালো সময়ের দিকে সবাই যেতে পারে সে প্রার্থনাও ছিল তাদের বক্তব্যে।
প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে শুরু হয় আয়োজন। এরপর নৃত্য, গান, কবিতা, সমবেত নৃত্য রায়বেশ পরিবেশন করেন শিল্পীরা।
এসব গান, নৃত্যের ভাবার্থে তুলে ধরা হয়েছে ভালো, আনন্দদায়ক, সম্ভাবনায়ময় সময়ের কথা।