২৫ মার্চ কালরাত থেকে শুরু করে স্বাধীনতা দিবস সন্ধ্যা পর্যন্ত এফডিসিতে নানা কর্মসূচিতে অংশ নেন শিল্পী সমিতির সভাপতিসহ বিজয়ী প্রার্থীরা। তাদের সঙ্গে ছিলেন অভিনেত্রী ও সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থায় থাকা প্রার্থী নিপুণ।
২৬ মার্চ সন্ধ্যায় সমিতির সহ-সাধারণ সম্পাদক ও অভিনেতা সাইমন সাদিক তার ফেসবুকে কিছু ছবি পোস্ট করেন। যার ক্যাপশন ছিল, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কার্যকরী পরিষদের মিটিং’।
যেখানে ইলিয়াস কাঞ্চনরক দেখা যায় সভাপতির চেয়ারে বসে থাকতে। নিজের নামে লেখা সাধারণ সম্পাদকের নেমপ্লেট সামনে রেখে চেয়ারে বসে আছেন নিপুণ। আর তাদের মাঝখানে বসে আছেন সাইমন সাদিক।
সেই মিটিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন অঞ্জনা, ইমন, জেসমিন, জাদু আজাদ, আরমান, কেয়া, নাদের খান, অমিত হাসান।
সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থায় থাকা প্রার্থী নিপুনকে নিয়ে কেন মিটিং হলো, জানতে ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে, তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি কথা বলতে চাই না। আমি প্রয়োজন হয়েছে, আমি করেছি।’
বিষয়টি নিয়ে নিপুণের সঙ্গে কথা বলেতে চাইলে অনেকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নিপুণ ফোন রিসিভ করেননি।
অন্যদিকে ২৬ মার্চ নিপুণসহ যে ১১ জন কার্যকরী পরিষদের মিটিং করেছিলেন তাদের সবার নামে ২৮ মার্চ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন জায়েদ খান। সাধারণ সম্পাদক পদে স্থিতাবস্থায় থাকা প্রার্থী তিনিও।
নেটিশে বলা হয়েছে, ২৬ মার্চের মিটিং হয়েছে অসৎ উদ্দেশ্যে এবং লঙ্ঘন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশ। ২৬ মার্চের মিটিংয়ের কার্যবিবরণী বাতিল করার জন্য বলা হয়েছে।
জায়েদ-নিপুনের সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে থাকা স্থিথাবস্থার শুনানি হবে ৪ এপ্রিল।