নিয়ম না মেনে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নির্মাণ করা হয়েছে দাবি করে ২০১৭ সালে রোজার ঈদে আন্দোলনে নামে চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৮টি সংগঠন। সবগুলো সংগঠনকে এক করে নাম দেয়া হয় চলচ্চিত্র পরিবার। সে সময় এর আহ্বায়ক করা হয় অভিনেতা ফারুককে।
এর পর থেকে চলচ্চিত্র পরিবার ব্যানারেই হয়ে আসছিল চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট অনেক কাজ। অনেক ক্ষেত্রে চলচ্চিত্র পরিবার না বলে ১৮ সংগঠন বলেও কাজ করছিলেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শেষ ৫ মার্চ জায়েদ খানকে বয়কট করেন তারা।
এ চলচ্চিত্র পরিবার আর নেই, প্ল্যাটফর্মটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। চলচ্চিত্র পরিবারের জায়গায় নাম দেয়া হয়েছে ‘চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদ’। আগে ১৮টি সংগঠন থাকলেও এখন এটি ১৯ সংগঠনের একটি প্ল্যাটফর্ম। এর আহ্বায়ক অভিনেতা আলমগীর।
চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনে ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর সমাপনী আয়োজন ও ১০২তম জন্মদিন উদযাপনের আয়োজন করে চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদ। প্ল্যাটফর্মটি থেকে সেটি ছিল তাদের প্রথম কর্মসূচি।
১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে অভিনেতা আলমগীর বলেন, ‘১৯টি সংগঠন এক হয়ে আমরা চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করব। এখানে যার যার সমিতির কাজ সে সে করবে। কারও সঙ্গে কোন্দল হলে সেটা আপনারা মেটাবেন। সম্মিলিত পরিষদ শুধু চলচ্চিত্র উন্নয়ন নিয়ে কাজ করবে।’
চলচ্চিত্র পরিবারকে পরিবর্তন বা নাম পরিবর্তন করার কারণ কী, জানতে চাওয়া হয়েছিল চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের কাছে।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘চলচ্চিত্র পরিবার নাম থাকলে কোনো অসুবিধা ছিল না, কিন্তু চলচ্চিত্র পরিবার নিয়ে অনেকের কথা (অভিযোগ) আছে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে নামটি পরিবর্তন করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটা মূলত ফেডারেশন করার পরিকল্পনা আমাদের। সে অনুযায়ী কাজ চলছে।’
মার্চ মাসেই একটি সভা করে এই নাম চূড়ান্ত করা হয়। সবার সম্মতি এবং অনুরোধে অভিনেতা আলমগীরকে আহ্বায়ক করা হয় বলে জানান সোহান।
‘চলচ্চিত্র সম্মিলিত পরিষদের ১৯টি সংগঠন হলো- চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, চলচ্চিত্র গ্রাহক সমিতি, চলচ্চিত্র সহকারী পরিচালক সমিতি, ফিল্ম এডিটরস গিল্ড, চলচ্চিত্র উৎপাদন ব্যবস্থাপক সমিতি, চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতি, চলচ্চিত্র লেখক সমিতি, স্থিরচিত্র গ্রাহক সমিতি, চলচ্চিত্র রূপসজ্জাকর সমিতি, চলচ্চিত্র অঙ্গসজ্জাকর সমিতি, চলচ্চিত্র উৎপাদন সহকারী ব্যবস্থাপক সমিতি, মারপিট সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্প নির্দেশক সমিতি, চলচ্চিত্র লাইট সরবরাহ মালিক সমিতি, চলচ্চিত্র সহকারী চিত্রগ্রাহক সমিতি, ফিল্ম ক্লাব এবং নতুন যুক্ত হয়েছে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি।