মোশাররফ করিম, পরীমনি, রোশানের মতো অভিনয়শিল্পীদের নিয়ে ইফতেখার শুভ নির্মাণ করেন থ্রিলার ঘরানার সিনেমা মুখোশ। সিনেমাটি মুক্তি পায় ৪ মার্চ।
১১ মার্চ নতুন দুটি সিনেমা মুক্তি পেলেও সিনেপ্লেক্সসহ দেশের কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে মুখোশ সিনেমাটি।
মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই পরিচালক ইফতেখার শুভ সম্মুখীন হয়েছেন কিছু বাস্তব ও নির্মম অভিজ্ঞতার। শুক্রবার বিকেলে তেমন কিছু কথা শুভ ভাগাভাগি করেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
শুভ বলতে চাইছেন, জেলায় জেলায় সিনেপ্লেক্স ধরনের প্রেক্ষাগৃহ না হলে মুখোশ ঘরানার সিনেমা নির্মাণ করে কোনো লাভ হবে না।
এর কারণ উল্লেখ করে তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিঙ্গেল স্ক্রিনে মুখোশ সিনেমার দর্শক কম, তবে সিনেপ্লেক্সে ভালো দর্শক রয়েছে। মুখোশ যে ধরনের সিনেমা, এ ধরনের সিনেমা দেখতে জেলা শহরের দর্শকরা সিঙ্গেল স্ক্রিনে আসতে চান না।’
শুক্রবারের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে শুভ বলেন, ‘আমি আজ (শুক্রবার) মণিহারে গেলাম। সেখানে গিয়ে দেখি প্রথম ৩০ মিনিটের মতো সিনেমার সাউন্ডই পাওয়া গেল না। পরে আমি নিজে সংশ্লিষ্টদের ফোন করে ঠিক করালাম। কিন্তু এতে করে দর্শকরা আশাহত হলো এবং আমাদের ভুল বুঝল। অনেক জায়গায় সিনেমার কালার ঠিকমতো দেখা যাচ্ছে না।’
এসব নিয়ে দেশের সিঙ্গেল স্ক্রিনের প্রেক্ষাগৃহ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন শুভ। তাই তিনি মনে করেন জেলায় জেলায় সিনেপ্লেক্স না হলে সিনেমা নির্মাণ করাই কঠিন হয়ে যাবে, বিশেষ করে যারা তুমুল বাণিজ্যিক সিনেমা নির্মাণ করেন না, তাদের জন্য।
পাশাপাশি তিনি সিনেমা মুক্তির পর সিনেমাসংশ্লিষ্ট কিছু মানুষের মন্তব্য নিয়েও আশাহত বলে জানান নিউজবাংলাকে। শুভ বলেন, ‘সিনেমাসংশ্লিষ্ট যারা, বিশেষ করে পরিচালক, প্রযোজক বা শিল্পীরা তো সিনেমা নির্মাণের পরিশ্রম, বিনিয়োগ সম্পর্কে জানেন। তারাই যদি পেছনে লেগে থাকেন, তাহলে তো সমস্যা। বিশেষ করে আমার মতো নতুন পরিচালকদের জন্য।’
২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায় সিনেমাটি। ব্যাচেলর ডট কম প্রডাকশন প্রযোজিত সিনেমাটি নির্মিত হয়েছে পরিচালকের ‘পেইজ নাম্বার ৪৪’ উপন্যাস অবলম্বনে। প্রথম সপ্তাহে মুখোশ প্রদর্শিত হয়েছে দেশের ৩৮টি সিনেমা হলে।