বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ডালিয়ার জীবনের গল্প থেকে ‘শিমু’ সিনেমা

  •    
  • ৫ মার্চ, ২০২২ ১৮:১৬

পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকনেত্রী ডালিয়া আক্তারের জীবনের সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। শুধু তা-ই নয়, চিত্রনাট্য থেকে চিত্রধারণ, এমনকি ছবিটির প্রদর্শনে তার উপস্থিতি ছিল।

পোশাকশিল্পের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সাফল্যে নারী শ্রমিকদের অবদান ও নির্ভরশীলতার আলোকে দৃঢ়চেতা নারী পোশাক শ্রমিকদের সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে সিনেমা শিমু। সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১১ মার্চ।

সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রুবাইয়াত হোসেন। তার দাবি, ‘প্রতিকূলতাকে জয় করে সামনে এগিয়ে চলা প্রতিটি সংগ্রামী মানুষের গল্প শিমু। সমতার প্রশ্নে শিমু একজন সম্মুখযোদ্ধা।’

শিমু সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত। পরিচালক সে কথা নিশ্চিত করেছেনি নিউজবাংলাকে। কিন্তু কোন গল্প? কার গল্প? কী সেই গল্প?

শুক্রবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন শিমু সিনেমাসংশ্লিষ্টরা। সেখানে পরিচালক পরিচয় করিয়ে দেন সেই মানুষটিকে, যার সংগ্রামী জীবন থেকেই তৈরি করা হয়েছে শিমু সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য।

সেই নারীর নাম ডালিয়া আক্তার ডলি। তার বাড়ি বরিশাল। ১১ বছর বয়সে অর্থাৎ স্কুলজীবনেই বাবা বিয়ে ঠিক করলে স্কুল থেকে পাওয়া বৃত্তির টাকা আর কিছু জামাকাপড় নিয়ে ঢাকা পালিয়ে আসেন ডালিয়া।

বিদেশে শিমু সিনেমার প্রদর্শনীতে ডালিয়া আক্তার ডলি। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় তার চাচাতো বোন গার্মেন্টে কাজ করতেন। তিনি তার লাইন চিফের সঙ্গে কথা বলে ডালিয়ার একটি কাজের ব্যবস্থা করে দেন। ডালিয়ার কিছু লেখাপড়া ছিল তাই তিনি প্রথমে নম্বর মেলানোর কাজ করতেন।

সেখানে কাজে ভুল করলে ডালিয়াকে চড় মারেন তার উচ্চপদস্থ। পরে ডালিয়া কাজ নেন অপারেটরের। এভাবেই বিভিন্ন সময় কাজ বদলে এগিয়ে যেতে থাকেন।

একসময় ডালিয়াসহ কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নেন ইউনিয়ন করবেন। কিন্তু নানা বাধা ও হুমকি আসে। তখন ডালিয়া এটাকে আরও গুরুত্ব দেয় এবং একসময় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্টও হয়ে যায়।

শিমু সিনেমা প্রচারের জন্য কয়েকটি ভিডিও নির্মাণ করা হয়েছে। সেখানে ডালিয়া তার সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন।

বৃহস্পতিবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলতে ডালিয়া জানান, ২০২৭ সালে তিনি চাকরি হারান এবং একই বছর জর্ডানে চলে যান তিনি। সেখানে কাজ করেন সাত মাস এবং আবারও দেশে ফেরেন।

তার পর থেকে তিনি দেশেই এবং কোথাও চাকরিও করছেন না। কিছুদিন পর লেবাননে শ্রমিক হিসেবে যাচ্ছেন ডালিয়া।

পরিচালক রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘শ্রমিকনেত্রী ডালিয়া আক্তারের জীবনের সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। শুধু তা-ই নয়, চিত্রনাট্য থেকে চিত্রধারণ, এমনকি ছবিটির প্রদর্শনে তার উপস্থিতি ছিল। ডালিয়া আমাদের ইউনিটের সঙ্গে থেকে কথা বলা, পোশাক, রূপসজ্জাসহ নানা রকম কাজে আমাদের সাহায্য করেছেন।’

বাঁয়ে ডালিয়া এবং তার পাশে অভিনেত্রী রিকিতা নন্দিনী শিমু। ছবি: সংগৃহীত

সিনেমায় ডালিয়ার চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু। তিনিও উপস্থিত ছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।

তিনি বলেন, ‘আমি যখন আন্ডার কনস্ট্রাকশন সিনেমায় অভিনয় করি, তখন থেকেই শিমু সিনেমার কাজের ব্যাপারে কথা হচ্ছিল। অনেক দিন রিহার্সেল করে কাজটি করেছি।’

১২টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে সাতটি আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছে শিমু সিনেমাটি। বাণিজ্যিকভাবে সিনেমাটি অনেকগুলো দেশে প্রদর্শিত হয়েছে। বাংলাদেশে মুক্তির পর সিনেমাটি মুক্তি পাবে জাপানে। এটি বাংলাদেশের কোনো সিনেমা বাণিজ্যিকভাবে প্রথমবার জাপানে মুক্তি পাওয়ার ঘটনা।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিকিতা নন্দিনী শিমু, নভেরা রহমান, দীপান্বিতা মার্টিন, পারভীন পারু, মায়াবি মায়া, মোস্তফা মনোয়ার, শতাব্দী ওয়াদুদ, জয়রাজ, মোমেনা চৌধুরী, ওয়াহিদা মল্লিক জলি, সামিনা লুৎফা প্রমুখ। দুটি অতিথি চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিতা চৌধুরী ও ভারতের শাহানা গোস্বামী।

এ বিভাগের আরো খবর