হাইকোর্টের রায়ে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের পদ পেয়েছে জায়েদ খান। বুধবার এ রায়ের পর থেকে তাকে দেখা যাচ্ছে এফডিসিতে। বৃহস্পতিবার সকালে এক সিনেমার মহরত অনুষ্ঠানে ইলিয়াস কাঞ্চন ও জায়েদ খানকে দেখা গেছে পাশাপাশি।
তাহলে কি দুজন মিলে সমিতির দায়িত্ব সামলানোর পরিকল্পনা চলছে? ইলিয়াস কাঞ্চন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি শুক্রবার সভা ডেকেছি। সবাইকে জানানো হয়েছে। কে আসবে না আসবে জানি না, আমি অবশ্যই থাকব।’
জায়েদ খানের কি হবে? তিনি কি এখন কমিটিতে থাকতে পারবেন? প্রশ্নের জবাবে কাঞ্চন বলেন, ‘আমি জায়েদকে বলেছি, তুমি তোমার রায়ের সার্টিফাইড কপি আমাকে দেবে। সেটা দিলেই আমি তাকে অ্যালাও করব।’
জোয়েদ খান বলেন, ‘কে সাধারণ সম্পাদক সেটা এখনই আমি বলতে চাই না। তবে সভাপতি আমার অনেক শ্রদ্ধার একজন মানুষ। তার নির্দেশনায় কাজ করে ভালো কিছু করতে পারব বলে আশা করি।’
অন্যদিকে শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি পদে জয়ী অভিনেতা ডিপজল শুক্রবার শপথ নেবেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন। মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে জয়ী অন্য প্রার্থীরাও শপথ নেবেন কিনা জানতে চাইলে ডিপজল বলেন, ‘অন্যরা নেবে কি না জানি না। আমি নিচ্ছি।’
তবে তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে ধরণ ভালো হলে করব, আর ধরণ ভালো না হলে করব না, নিজের পদ তুলে নেব।’
শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে জায়েদ খানকে বৈধতা দিয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন নাসরিন আক্তার নিপুণ।
চূড়ান্তভাবে রায় জায়েদ বা নিপূণ যার পক্ষেই আসুক না কেন, সবাইকেই মেনে নেবেন বলে জানান ডিপজল।
মিশা-জায়েদ প্যালেন থেকে কার্যনির্বাহী পদে জয়ী মৌসুমী এখন আছেন দেশের বাইরে। তবে বিদেশ থেকেই বার্তা পাঠিয়েছেন তিনি। আর সেই বার্তা মৌসুমীর স্বামী অভিনেতা ওমর সানি তার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রকাশ করেছেন।
মৌসুমী তার বার্তায় লিখেছেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ আমাদের শিল্পী সমিতির প্রেসিডেন্ট জনাব ইলিয়াস কাঞ্চন এবং সেক্রেটারি জায়েদ খানসহ আমার ক্যাবিনেটের সবাইকে আন্তরিক অভিবাদন জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমি বাংলাদেশে থাকলে অনেক ভালো লাগতো, যাই হোক আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখলে আমি এসে সাংগঠনিকভাবে কাজে যোগদান করব।’