দিন কয়েক আগেই নিজের আসন্ন শো ‘লক আপ’-এর সংবাদ সম্মেলনে দীপিকা ও তার আসন্ন সিনেমা গেহরাইয়ার প্রসঙ্গ উঠতেই মেজাজ হারিয়েছিলেন কঙ্গনা। সোজাসুজি জানিয়েছিলেন অন্যের সিনেমার প্রচারে তিনি আগ্রহী নন।
তবে এবার গেহরাইয়া সিনেমাটিকেই টার্গেট করলেন কঙ্গনা। আজকের সময়ের সম্পর্কগুলো ঠিক কেমন? কতটা গভীর, কতটা আলগা? সেই টানাপোড়েন উঠে এসেছে পরিচালক শকুন বাত্রার এই সিনেমায়। শুক্রবার ওটিটি প্ল্যাটফর্ম আমাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি।
শনিবার রাতে, কঙ্গনা নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে মনোজ কুমার ও মালা সিনহার জনপ্রিয় গান ‘চান্দ সি মেহবুবা মেরি’ শেয়ার করেন।
১৯৬৫ সালে মুক্তি পাওয়া ‘হিমালয় কি গোদ মে’ সিনেমার গান এটি। এতে মনোজ কুমার অভিনীত চরিত্র ডাক্তার সুনীল প্রেমে পড়েছিলেন গ্রামের মেয়ে ফুলওয়া ওরফে মালা সিনহার। যদিও সেই সময় ডাক্তার নীতার (শশীকলা) সঙ্গে তার বিয়ের কথা পাকা ছিল।
কঙ্গনার ইনস্টগ্রাম স্টোরি। ছবি: নিউজবাংলা কোলাজ
এই গানের সঙ্গে এক ক্যাপশনে কঙ্গনা লেখেন, ‘আমিও এই প্রজন্মের, কিন্তু আমি এই ধরনের রোমান্স অনুধাবন করতে পারি এবং বুঝতে পারি। দয়া করে এই প্রজন্মের/নতুন যুগের অথবা আরবান মুভির নাম নিয়ে জঞ্জাল বিক্রি করবেন না। খারাপ সিনেমা সবসময়ই খারাপ, দেহ প্রদর্শন বা পর্নোগ্রাফি দেখালেও সেটাকে ভরাডুবি হাত থেকে কেউ রক্ষা করতে পারবে না। এটা খুব বেসিক একটা বিষয়, এর মধ্যে গেহয়াইয়া সংক্রান্ত কোনো বিষয় যুক্ত নয়।’
‘লক আপ’-এর প্রমোশনাল ইভেন্টে দীপিকার সিনেমার নাম শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠেছিলেন কঙ্গনা। এক সাংবাদিক প্রশ্ন রেখেছিলেন, গেহরাইয়ার প্রচারে খোলামেলা পোশাক পরার জন্য দীপিকাকে আক্রমণের মুখে পরতে হয়েছে। নায়িকাদের ওপর কীভাবে দেখেন কঙ্গনা।
উত্তরে কঙ্গনা বলেন, ‘আমি এখানে এসেছি তাদের জন্য যারা নিজেদের হয়ে আওয়াজ তুলতে পারে না। ওর যথেষ্ট ক্ষমতা রয়েছে, ওর সেই সুযোগ-সুবিধা, প্ল্যাটফর্ম সবকিছু রয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মে আমি অন্যের সিনেমার প্রচার করব না।’
এর আগেও দীপিকাকে আক্রমণ করেছেন কঙ্গনা। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দীপিকার কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে অভিনেত্রী বলেছিলেন, ‘ডিপ্রেশনের বিজনেস’ চালায় দীপিকা।