২০২২-২৪ মেয়াদে মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে নির্বাচন করে কার্যনির্বাহী পদে জয়ী রোজিনা। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন তিনি।
এ বিষয়ে তিনি দেখিয়েছেন ব্যক্তিগত কারণ। কী কী বিষয় আছে সেই ব্যক্তিগত কারণের মধ্যে, এ নিয়ে তিনি কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
রোজিনা জানান, চিঠি পাঠিয়ে পদত্যাগের বিষয়টি জানিয়েছেন তিনি।
রোজিনা বলেন, ‘আমি চিঠি পাঠিয়েছি বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি)। হলো কী, সমিতি বন্ধ ছিল, তাই চিঠিটা ই-মেইলে পাঠিয়েছি।’
সভাপতি বরাবর পদত্যাগের আবেদন করেছেন রোজিনা। মেইলটি পাঠিয়েছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মেইল অ্যাড্রেসে।
সবার প্রশ্ন একটাই, কেন পদত্যাগ করলেন রোজিনা?
নিউজবাংলাকে রোজিনা বলেন, ‘আমি আসলে ওতটা সময় দিতে পারব না।’
প্রশ্ন করার সুরে রোজিনাই বলেন, ‘এখন হয়তো বলবেন যে সময় দিতে পারবেন না তাহলে নির্বাচনে যুক্ত কেন হলেন?’
নিজের প্রশ্নে নিজেই উত্তর দেন রোজিনা। বলেন, ‘আমি শিল্পীদের সঙ্গে চার বছর ধরে আছি। প্রথম থেকেই আমি মিশা-জায়েদকে বলেছি, দেখো ভাই, আমি কিন্তু ওতপ্রোতভাবে তোমাদের মিটিংয়ে থাকতে পারব না। ওনারা (মিশা-জায়েদ) সব সময় বলতেন যে, আপনারা সিনিয়র মানুষ, আপনাদের সব মিটিংয়ে থাকতে হবে না, কমিটিতে থাকলেই আমরা সম্মানিত মনে করব।
‘ঢাকায় যদি থাকি, বিশেষ বিশেষ মিটিং থাকে বা চলচ্চিত্রের বিষয়ে যদি কোথাও যেতে হয়, তথ্য মন্ত্রণালয় বা এমন কোনো জায়গায়, তখন সেখানে যাওয়ার ব্যাপারে তারা (মিশা-জায়েদ) খুশি হবেন, এভাবে বলেছিলেন।’
এমন প্রস্তাবে রাজি হন রোজিনা। বলেন, ‘আমি বছরে ছয় মাস বিদেশে থাকি, ঢাকায় থাকি, দেশের বাড়িতেও মাঝে মাঝে যাই, এভাবে চলে আসছে।’
কিন্তু এবার তেমনটা হচ্ছে না বলে মনে হলো রোজিনার কথায়। কারণ এবার সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন বেশ কঠোর হয়েই সমিতির নেতৃত্ব দেবেন।
রোজিনা বলেন, ‘এর মধ্যে আমার কাঞ্চনের সঙ্গে কথা হলো। তিনি আমার হিরো ছিলেন একসময়। যা-ই হোক, তিনি এখন সমিতির দায়িত্বে। সংবিধানে যেমন আছে, তিনি তো সে কথাই বলবেন। পরপর তিন মিটিংয়ে যদি কেউ না থাকেন, তাহলে তো তাকে নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে, নোটিশ দেয়া হবে তাকে। এটা নিয়ম।’
মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকাসহ মিশা-জায়েদের বেলায় সমিতিতে নিয়মিত সময় না দেয়ার সুযোগ রোজিনা পেলেও ইলিয়াস কাঞ্চনের বেলায় সে সুযোগ পাবেন না তিনি। এসব ভেবেই পদত্যাগ করেছেন বলে বোঝাতে চেয়েছেন এ অভিনেত্রী।