বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জায়েদকে নিয়ে হাইকোর্টের চিঠি সমিতির বোর্ডে

  •    
  • ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১৯:৩৫

হাইকোর্টের আদেশের পর সোমবার বেলা ৫টার দিকে নির্দেশনার চিঠি নিয়ে এফডিসিতে সমিতির কার্যালয়ে আসেন আদালতের দুজন প্রতিনিধি। এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের প্রার্থী জেসমিন ও জাদু আজাদসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

জায়েদ খানকে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের চিঠি গ্রহণ করেনি সমিতি। এ চিঠি সাঁটানো হয়েছে সমিতির নোটিশ বোর্ডে।

সোমবার দুপুরে অভিনেতা জায়েদের এক রিটে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তার প্রার্থিতা বহাল রেখে আদেশ দেয় বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এর মাধ্যমে রোববার সমিতির আপিল বোর্ড সাধারণ সম্পাদক পদে নিপুণ আক্তারের জয়ের যে ঘোষণা দিয়েছিল তা বাদ হয়ে যায়।

হাইকোর্টের আদেশের পর সোমবার বেলা ৫টার দিকে নির্দেশনার চিঠি নিয়ে এফডিসিতে সমিতির কার্যালয়ে আসেন আদালতের দুজন প্রতিনিধি। এ সময় ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণ পরিষদের প্রার্থী জেসমিন ও জাদু আজাদসহ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন।

চিঠিটি কেউ গ্রহণ না করলে ওই দুজন সমিতির বোর্ডে তা সাঁটিয়ে দেন। এক পর্যায়ে তাদের ঘিরে ধরেন সমিতি থেকে সদস্য বাতিল হওয়া বেশ কয়েকজন।

সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে জয়ী মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে জয়ী জয় চৌধুরী নিউজবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, চিঠির কপিটি রিসিভ করেননি সমিতির কর্মচারীসহ নির্বাচনে জয়ী প্রার্থীদের কেউ।

জয় চৌধুরী বলেন, ‘আমি এফডিসিতে শুটিং করছিলাম। হঠাৎ করেই দেখি একটা হট্টগোল। সমিতির সামনে এসে দেখলাম দুজনকে ঘিরে রেখেছেন ভোটাধিকার হারানো সহযোগী কিছু সদস্য।

‘পরে জানতে পারলাম তারা হাইকোর্টের কাগজটি নিয়ে সমিতিতে এসেছেন। কিন্তু সেই কাগজটি সমিতির কেউ গ্রহণ করেননি। পরে সেই দুজন নোটিশটি শিল্পী সমিতির বোর্ডে লাগিয়ে দিয়ে চলে গেছেন।’

গত ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এবারের এই নির্বাচন ছিল নাটকীয়তায় ভরপুর। ভোটের আগেই দুপক্ষের কাদা ছোড়াছুড়ি হয়। ভোটগ্রহণের পরদিন ভোরে ফল ঘোষণা করে সমিতির নির্বাচন কমিশন।

২০২২-২৪ কার্যকরী পরিষদের এ নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন ইলিয়াস কাঞ্চন। তিনি তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মিশা সওদাগরকে হারান ৪৩ ভোটে।

সাধারণ সম্পাদক পদে দুটি প্যানেল থেকে লড়াই করেন জায়েদ খান ও নিপুণ। জায়েদ খান ১৭৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। আর নিপুণের পক্ষে ভোট পড়ে ১৬৩টি।

ভোটে সভাপতি পদ নিয়ে বিতর্ক না থাকলেও জায়েদ খানের সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। ভোটের সময় নিপুণ তার বিরুদ্ধে টাকা দিয়ে ভোট কেনার অভিযোগ আনেন। পরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে একই অভিযোগ করেন তিনি।

ওই সংবাদ সম্মেলনে ভোট বাতিল দাবি করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহিদুল হারুনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আনেন তিনি। তার কাছে পীরজাদা হারুন ভোটের দিন চুমু চেয়েছিলেন বলে দাবি করেন নিপুণ। অবশ্য হারুন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

পরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচিত চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করা করেন পরাজিত প্রার্থী নিপুণ।

এরপর প্রার্থিতা বাতিলের অভিযোগের দিকনির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচনের আপিল বোর্ডের প্রধান সোহানুর রহমান সোহান।

আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যানকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলে মন্ত্রণালয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এফডিসিতে আসেন নিপুণ, আপিল বোর্ডের সদস্য সোহানুর রহমান সোহানসহ অনেকে।

এফডিসির বৈঠকে আচরণবিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় জায়েদের প্রার্থিতা বাতিল করে তার পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণকে জয়ী ঘোষণার সিদ্ধান্ত আসে। সন্ধ্যায় বিষয়টি সংবাদ সম্মেলনে জানান সোহানুর রহমান সোহান।

এর পরদিন রোববার শপথ গ্রহণ করেন ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণসহ নির্বাচিত কয়েকজন। ইলিয়াস কাঞ্চনকে শপথ পড়ান নির্বাচনে সভাপতি পদে হেরে যাওয়া মিশা সওদাগর।

এ ব্যাপারে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান জায়েদ খান। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর