রোববার সকাল ৮টা ১২ মিনিটে ভারতের মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে মারা গেছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর।
তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন এ দেশের সংগীতশিল্পীরা। শুধু শোকই নয়, লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে থাকা কিছু স্মৃতির কথা তারা জানাচ্ছেন বিভিন্নভাবে।
দেশের খ্যাতনামা সংগীতজ্ঞ, সংগীত পরিচালক, সুরকার, গীতিকার প্রয়াত আলাউদ্দিন আলীর মেয়ে আলিফ আলাউদ্দিন। আলিফ নিজেও সংগীতশিল্পী। ছোটবেলায় লতার সঙ্গে দেখা হওয়ার স্মৃতির কথা তিনি লিখেছেন তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে।
তিনি লিখেছেন, ‘কলকাতার ৪০০ বছর, কলকাতা স্টেডিয়ামে সংবর্ধনা দেয়া হয় শ্রদ্ধেয় রুনা লায়লা আন্টি, ভুপেন হাজারিকা, আব্বু (আলাউদ্দীন আলী) সহ কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরকে। মনে আছে, আমরা উঠেছিলাম গ্র্যান্ড ওবেরয় হোটেলে।
‘লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে আমার সংগীতের চেনাজানা মা-খালাদের মাধ্যমে। একই হোটেলে আম্মু আর লতাজি আছেন, এটা চিন্তা করেই আম্মুর চোখমুখ জ্বলজ্বল করছিল।
‘তারপর আসল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, রুনা আন্টি আমাদের নিয়ে যাবেন কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকরের রুমে।
“লিফটে আম্মু রুনা আন্টিকে বললেন ‘রুনা আপা আমার খুব নার্ভাস লাগছে’, রুনা আন্টি হাসলেন, বললেন, ‘ইটস ওকে’।
‘ওনার হোটেল সুইট রুমে ঢুকে বসলাম। উনি রুম থেকে বের হতেই সবাই দাঁড়িয়ে গেলাম। কেমন যেন দ্যুতিময় তিনি। কিছুক্ষণ কথা তারপর ছবি তোলার পালা, কিংবদন্তি নিজেই তার পাশে আমাকে আদর করে বসালেন ছবি তুললেন। তানি লায়লা (রুনা আন্টির কন্যা) সেও ছবি তুলল।
‘এবারে মার ছবি তোলার পালা, লতাজি উঠে দাঁড়াতে যাচ্ছেন আম্মু তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেন ওনাকে উঠতে দিলেন না। আমি অবাক হয়ে দেখলাম কী অদ্ভুত শ্রদ্ধাবোধ। এটা আমার আব্বু-আম্মু দুজনেরই ছিল।
‘আজ (রোববার) ওনার চলে যাওয়াটা আমার ছোটবেলার অনেক স্মৃতি সঙ্গে নিয়ে চলে যাবার মতো লাগছে। ছোটবেলায় দুপুরের ভাত খেয়ে মার সঙ্গে শুয়ে শুয়ে লতাজির গান শোনা ছিল প্রায় প্রতিদিনের রুটিন।
‘ভালো থাকবেন হে কিংবদন্তি। ধন্যবাদ এই স্মৃতিগুলোর জন্য। ভালো থেকো মা।’