বিচার চেয়ে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। বৃহস্পতিবার জায়েদ খানের পক্ষে এ নোটিশ পাঠিয়েছেন আইনজীবী মজীবুল হক ভুঁইয়া।
পরিচালক সমিতির সভাপতি ও অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বিভাগের প্রধান সোহানুর রহমান সোহন, আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনকে উকিল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
শিল্পী সমিতি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে হওয়ায় উকিল নোটিশটি আরও পাঠানো হয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের ডিজি এবং জেলা সমাজসেবা অফিসের রেজিস্ট্রেশন অথরিটি ও ডেপুটি ডিরেক্টরকে।
এর একটি কপি পাঠানো হয়েছে নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনের কাছেও। তবে উকিল নোটিশ তার নামে ইস্যু হয়নি।
নোটিশে বলা হয়েছে, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী ২৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে নির্বাচন, ২৯ তারিখ সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত ছিল আপিলের সুযোগ। অভিনেত্রী নিপুণ সেই সুযোগ নেন এবং সাধারণ সম্পাদক পদের বাতিল হওয়া ভোট যাচাই ও গণনার আপিল করেন।
পুনঃযাচাই ও গণনার পর জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী থাকেন এবং ফলাফলটি নিপুণ মেনেও নেন। এরপর আবারও আপিল করেন নিপুণ। যেখানে তিনি জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদে জয়ী চুন্নুর নামে জালিয়াতির অভিযোগ এনে তাদের প্রার্থিতা বাতিলের দাবি করেন।
জায়েদের দাবি, এই আবেদন নিপুণ করেছেন ২৯ জানুয়ারি বেলা ১টার পর। অর্থাৎ আপিলের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার পর আপিল করেন নিপুণ।
এ ব্যাপারে নিপুণের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারির পর চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির আপিল বোর্ড এবং ৩০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ফল দেয়ার পর শিল্পী সমিতির নির্বাচন কমিশন বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা।
জায়েদের দাবি, আপিল বোর্ড স্বপ্রণোদিত হয়ে সময় চলে যাওয়ার পরও নিপুণের অভিযোগটি নেয় এবং ১ জানুয়ারি অভিযোগটি নিয়ে দিকনির্দেশনা চায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কাছে।
মন্ত্রণালয় ২ জানুয়ারি চিঠিটি গ্রহণ করে এবং উত্তরে জানায়, এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয় না, সিদ্ধান্ত দেয়ার অধিকার আপিল বোর্ডের।
জায়েদের পক্ষের আইনজীবী মজীবুল হক ভুঁইয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১ জানুয়ারি মন্ত্রণালয়ে আপিল বোর্ডের অভিযোগ করা এবং মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে অভিযোগটির বিষয়ে রায় দেয়া- কোনোটিরই এখতিয়ার নেই আপিল বোর্ডের।’
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া প্রার্থী নিপুণ ২৯ জানুয়ারি আপিল করার পর আপিল বোর্ড ফল দেয় এবং সে অনুযায়ী ৩০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ড কার্যকর ছিল ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত আর নির্বাচন কমিশনের কাজ শেষ করে ৩০ জানুয়ারি। এরপর আর তারা কাজ করতে পারবে না। সে অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ ও অভিযোগটির বিষয়ে রায় দেয়ার ক্ষমতা তারা রাখে না।’
আইনজীবী জানান, যত দ্রুত সম্ভব উকিল নোটিশের জবাব চাওয়া হয়েছে। তা না হলে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সোহানুর রহমান সোহান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘শনিবার বিকালে আমাদের মিটিং আছে। মিটিংয়ের পর কথা বলতে পারব।’
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উকিল নোটিশটি পেয়েছেন বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সোহান।