চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয় ২৯ জানুয়ারি ভোরে। সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হন জায়েদ খান; পরাজিত হন নাসরিন আক্তার নিপুণ।
সেদিনই সাধারণ সম্পাদক পদের বাতিল ভোট যাচাই এবং পুনর্গণনার জন্য আপিল করেন নিপুণ। যাচাই ও পুনর্গণনায় আগের ফল বহাল থাকে। নিপুণ তা মেনেও নেন।
তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টার মধ্যে আপিল করার সময় ছিল।
জায়েদের দাবি, নিপুণ বাতিল ভোট যাচাই ও পুনর্গণনার জন্য নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আপিল করেছিলেন, কিন্তু তার (জায়েদ) ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আপিল তিনি সময়ের মধ্যে করেননি।
এফডিসিতে বুধবার রাত ১০টার দিকে জায়েদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘২৯ জানুয়ারি রাতে শিল্পী সমিতির অফিস সহকারী জামানের কাছে কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল থেকে জয়ী প্রার্থী সাইমন সাদিক একটি খাম দিয়ে যায়। সেই খামে আমার ও চুন্নুর প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন ছিল। সময় পার হয়ে গেলেও আপিল বোর্ড আবেদনটি আমলে নেয়।’
তিনি বলেন, ‘তফসিল অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের সুযোগ ছিল যখন প্রার্থীরা নমিনেশন কিনেছেন, তখন। যাচাই-বাছাই করে নির্বাচন কমিশনের প্রার্থিতা বাতিল করার এখতিয়ার ছিল, কিন্তু এখন আর সে সুযোগ নেই।’
এই অভিনেতা বলেন, ‘২৯ জানুয়ারি নিপুণের প্রার্থিতা বাতিলের আপিল যদি আপিল বোর্ড আমলেই নেবে, তাহলে ৩০ জানুয়ারি চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হলো কেন? তাহলে তো ফল প্রকাশ করতে দেরি করা উচিত ছিল।’
জায়েদের প্রার্থিতা বাতিলে নিপুণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কী করবে, তার দিকনির্দেশনা চেয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় আপিল বোর্ড।
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এটি সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধিত।
চিঠির উত্তরে বুধবার সন্ধ্যায় আরেক চিঠির মাধ্যমে মন্ত্রণালয় বলে, ‘যেহেতু বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি নির্বাচন নিবন্ধনকারী কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত গঠনতন্ত্র এবং অনুমোদিত গঠনতন্ত্রের আলোকে গঠিত নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ও জারীকৃত নির্বাচনি আচরণ বিধি মতে পরিচালিত হয়েছে, সেহেতু অনুমোদিত আচরণ বিধি মতে, উক্ত প্রার্থীদ্বয়ের বিষয়ে চূড়ান্ত নির্দেশনা প্রদানের জন্য নির্বাচনি আপিল বোর্ড চূড়ান্ত ক্ষমতাপ্রাপ্ত।’
চিঠির মানে হলো এই বিষয়ে সব সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার ও দায়িত্ব আপিল বোর্ডের। এ নিয়ে শিল্পী সমিতি নির্বাচনের আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান।
জায়েদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আপিল বোর্ড স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে নিপুণের আপিল গ্রহণ এবং মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। এ ক্ষেত্রে তফসিলের নিয়ম মানা হয়নি।’
তিনি আরও জানান, নিপুণ তার হার মেনে নিতে পারছেন না। তাই এমন করছেন।