একদিকে চলছে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের (এফডিসি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নুজহাত ইয়াসমিনের অপসারণের দাবি, অন্যদিকে এফডিসির এমডি হিসেবে অনেকে চাইছেন বরেণ্য অভিনেতা আলমগীরকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে শুরু হয়েছে লেখালেখিও।
তবে অভিনেতা আলমগীর নিজেকে এফডিসির এমডি হিসেবে নিজেকে যোগ্য বলে মনে করছেন না। সোমবার সন্ধ্যায় এফডিসিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এমন মন্তব্য করেন অভিনেতা আলমগীর।
আলমগীর বলেন, ‘এফডিসির এমডি হতে চাইলে আরও পাঁচ-সাত বছর আগে হতে পারতাম। আমি খুব অলস মানুষ, অনেক সকাল পর্যন্ত ঘুমিয়ে থাকি। আমি এফডিসির এমডি হওয়ার মতো ক্ষমতা রাখি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এফডিসির এমডি হওয়ার যোগ্যতা রাখি না, আমি নিজেকে যোগ্য মনে করি না।’
চলচ্চিত্রের মানুষ যদি এফডিসির এমডি হয় তাহলে চলচ্চিত্রের সমস্যাগুলো আর থাকবে না, এমন ধারণা অধিকাংশের। তবে সে ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেন আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘চলচ্চিত্রের মানুষ তো এফডিসির এমডি ছিল। অভিনেতা ওয়াসিমুল বারী রাজিব, পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় ছিলেন তো দায়িত্বে। আমরা কি এফডিসিকে স্বর্ণ দিয়ে বাঁধিয়ে ফেলতে পেরেছিলাম। এ জন্য বলছি এটার জন্য আমিও ফিট না।’
২৮ জানুয়ারি চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট ১৭টি সংগঠনের সদস্যরা শিল্পী সমিতির নির্বাচনের কারণে এফডিসিতে ঢুকতে পারেননি।
এই ঢুকতে না পারাটাকে আলমগীর ৫০ বছরের চলচ্চিত্রের ইতিহাসের সবচেয়ে দুঃখজনক এবং লজ্জাকর পরিস্থিতি বলে অভিহিত করেন।
১৭ সংগঠনের এ আন্দোলনের মুখপাত্র হিসেবে আলমগীর বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণ অবস্থানে আছি, আন্দোলন চলছে। আমাদের আন্দোলন আপাতত একটি, এমডির অপসারণ।’
রোববার এফডিসির এমডি কথা বলেছেন সাংবাদিকদের সঙ্গে। সেই কথা ইউটিউবে শুনেছেন আলমগীর, কিন্তু সেই বক্তব্যে সন্তুষ্ট হতে পারেননি তিনি ও অন্যান্যরা। সে কারণে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে যাচ্ছেন ১৭ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
আলমগীর বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করেছি। সোমবারেই তিনি আমাদের সময় দিয়েছিলেন, কিন্তু তার একটি মানবিক কাজে চট্টগ্রাম যেতে হয়েছে। আশা করছি আগামীকাল (মঙ্গলবার) আমরা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারব। আমরা আমাদের ক্ষোভের কথাই বলব মন্ত্রীর কাছে।’
একটি সুন্দর ফলের আশা করেছেন আলমগীর। মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার আগে কোনো আন্দোলনে যাচ্ছেন না ১৭ কমিটির সদস্যরা। তাই এফডিসিতে কর্মবিরতির যে কথা বলা হয়েছিল, সেটি কার্যকর হচ্ছে না।
যদি মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর ১৭ সংগঠনের মনমতো ফল না হয় তখন তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।