শুক্রবার রাতে এফডিসিতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন চিত্রনায়ক ইমন। অভিনেতার দাবি, এ ঘটনা তার প্রতিপক্ষ প্যানেলের সভাপতি পদপ্রার্থী মিশা সওদাগরের সামনেই ঘটেছে এবং ইমনকে যিনি ধাক্কা দিয়েছেন, সে ব্যক্তি মিশা-জায়েদ প্যানেলের হয়ে কাজ করে। তিনি শিল্পী সমিতির সদস্য নন বা কোনো শিল্পীও নন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ইমন বলেন, ‘সবাই নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। আমি এক পর্যায়ে মিশা সওদাগর ভাইয়ের কাছে যেতে চাইলাম, তার সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে যেতে চাইলে সেই ব্যক্তি আমাকে বাধা দেয়।
‘আমি তাকে বললাম, মিশা ভাই কি আমার চেয়ে বেশি আপন তোমার? সে কোনো উত্তর না দিয়ে ভিড় হলে মানুষ যেভাবে সরিয়ে দেয়, সেভাবে আমাকে ধাক্কা দেয়।’
ইমনের দাবি, মিশা সওদাগরের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে এবং মিশা সেই ব্যক্তিকে সেখানে সঙ্গে সঙ্গেই ইমনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে বলেন। সে দুঃখ প্রকাশ করেনি উল্টা তর্ক করেছে বলে জানান ইমন।
ইমন বলেন, ‘এই ছেলেকে আমি চিনিনা ঠিকমতো। সে বহিরাগত। তবে সে মিশা-জায়েদ প্যানেলের জন্য যে জায়গা বরাদ্দ সেখানেই থাকে এবং তাদের হয়ে কাজ করে।’
এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন ইমন। অভিযোগটি খুবই গুরুত্বের সঙ্গে নেয়া হয়েছে বলে জানায় কমিশন।
নিজের প্যানেলের একজন প্রার্থীর সঙ্গে ঘটা এমন ঘটনায় ক্ষেপেছেন রিয়াজ। তিনি প্রতিপক্ষকে সাবধান করে দিয়ে বলেন, ‘ধাক্কাধাক্কি করার অভ্যাসটা অনেক পুরনো তাদের। এটারই মনে হয় রিহার্সেল করছে। আমরাও কিন্তু হাত বাড়িতে রেখে আসিনি, হাত আমাদের সঙ্গেই আছে। আমরা চরম সহনশীলতার পরিচয় দিচ্ছি। এফিডিসির শিল্পীদের হাত কিন্তু সঙ্গে আছে, যেটা আমাদের মাথার ওপর আছে, সেটা কিন্তু অন্য জায়গায় চলে যেতে পারে। আমি সাবধান করে বলতে চাই।’
ঘটনাটি নিয়ে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি শুক্রবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি এখনও বিষয়টা খুব ভালো করে জানিনা। তবে শুনেছি, খোঁজ নিয়ে জানব।’
তিনি বলেন, ‘আমি বহিরাগতমুক্ত এফডিসি চাই। আমার তরফ থেকে যদি কোনো বহিরাগত এখানে আসে, তার দায়ভার আমার, তার শাস্তি আমি আমার মাথা পেতে নেব। আমি আমার পরিচিত, আত্মীয়-স্বজনকে বলেছি, তোমরা কেউ এফডিসিতে আসবানা।’
জায়েদ জানান, তিনি দায় এরানোর চেষ্টা করছেন না; তিনি ইমনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন।
জায়েদ আরও বলেন, ‘শুক্রবার বিকেলে যদি এফডিসি দেখতেন, তাহলে মনে হতো একটা বাজার বসেছে। এমন অবস্থায় কোনো সিনিয়রশিল্পী এখানে আসবেন না।’
শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২৮ জানুয়ারি। এতে মোট ভোটার সংখ্যা ৪২৮ জন।