হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভারতের শাস্ত্রীয় নৃত্য কত্থকের কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী পণ্ডিত বিরজু মহারাজের মৃত্যু হয়েছে।
দিল্লিতে রোববার রাতে তিনি নাতির সঙ্গে খেলা করার সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিরজু মহারাজের বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর।
বিরজু মহারাজ একাধারে নাচ, তবলা ও কণ্ঠসংগীতে সমান পারদর্শী ছিলেন। এমনকি তিনি ছবিও আঁকতেন।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়, বিরজু মহারাজ ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মভূষণ পেয়েছিলেন। তিনি পরিচিতি পেয়েছিলেন পণ্ডিতজি ও মহারাজজি হিসেবে।
কিছুদিন যাবৎ বিরজু মহারাজ কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। তার ডায়ালাইসিস চলছিল।
বিরজু মহারাজ ভারতের লক্ষ্নৌর মহারাজ পরিবারের সন্তান। তার বাবা অচ্চন মহারাজই ছিলেন তার গুরু। আর তার দুই চাচা শম্ভু মহারাজ এবং লচ্চু মহারাজও ছিলেন কত্থক নাচের প্রখ্যাত শিল্পী।
ভারতের প্রখ্যাত শাস্ত্রীয় সংগীতের পণ্ডিত রবিশঙ্কর বিরজুর নাচ দেখে বলেছিলেন, ‘তুমি তো লয়ের পুতুল।’
শাস্ত্রীয় সংগীতের একাধিক ধারার সঙ্গে যেমন যুক্ত ছিলেন বিরজু মহারাজ, সঙ্গে করেছেন অনেক সিনেমায় কোরিওগ্রাফারের কাজও। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সত্তর দশকের মাঝামাঝি সত্যজিৎ রায়ের ‘শতরঞ্জ কি খিলাড়ি’র কোরিওগ্রাফি।
সিনেমাটিতে দুটি গানের কোরিওগ্রাফি করেন বিরজু মহারাজ। তার মধ্যে একটা ছিল ‘কানহা মে তোসে হারি’।
তিনি গেয়েছেন ঠুমরি, দাদরা, ভজন, গজলের মতো গানও।
বিরজু মহারাজের দেশ-বিদেশে অসংখ্য শিক্ষার্থী রয়েছেন।
১৯৩৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বিরজু মহারাজের জন্ম হয় ভারতের উত্তর প্রদেশের বারানসিতে।