ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থেকে কেবিনে আনা হয়েছে অভিনেতা, পরিচালক ও প্রযোজক সোহেল রানাকে। করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি।
বৃহম্পতিবার রাতে সোহেল রানাকে কেবিনে আনা হয় বলে নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন তার ছেলে মাশরুর পারভেজ।
মাশরুর নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি অনেক হ্যাপি। বাবা এখন আগের চেয়ে বেশ ভালো। আমরা এখন তার রিকভারি নিয়ে ভাবতে পারছি।’
তবে সোহেল রানার শারীরিক দুর্বলতা রয়েছে। তিনি কথা বলতে পারছেন, খেতে পারছেন, কারও সঙ্গে দেখা হলে তাকে চিনতে পারছেন বলে জানান মাশরুর।
২৫ ডিসেম্বর সোহেল রানাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেয়া হয় আইসিইউতে। ভেন্টিলেশন না লাগলেও চিকিৎসকদের পরামর্শে অ্যাকটেমরা ইনজেকশন দিতে হয় সোহেল রানাকে।
মাসুদ পারভেজ ওরফে সোহেল রানার জন্ম ১৯৪৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায়। তিনি শিক্ষাজীবনে একজন ছাত্রনেতা ছিলেন। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মুক্তিযুদ্ধে। তার জন্ম ঢাকায় হলেও পৈতৃক বাসস্থান বরিশাল জেলায়।
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত হন প্রযোজক ও পরিচালক হিসেবে মাসুদ পারভেজ এবং অভিনেতা হিসেবে সোহেল রানা নাম ধারণ করে।
চাষী নজরুল ইসলামের পরিচালনায় নির্মিত বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ওরা ১১ জন প্রযোজনা করেন তিনি। অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবে তার যাত্রা শুরু ১৯৭৩ সালে।
বিখ্যাত কাল্পনিক চরিত্র মাসুদ রানা সিরিজের একটি গল্প অবলম্বনে মাসুদ রানা চলচ্চিত্রে নায়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন সোহেল রানা। একই সিনেমার মাধ্যমে তিনি পরিচালক হিসেবে মাসুদ পারভেজ নামে কাজ শুরু করেন।