জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী অবলম্বনে নির্মিত এবং শেখ হাসিনা ও শেখ রেহেনা নিবেদিত চলচ্চিত্র চিরঞ্জীব মুজিব। সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৩১ ডিসেম্বর।
সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে বগুড়ায় এবং একমাত্র মধুবন সিনেপ্লেক্সে। এটি পরিচালনা করেছেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম।
কেন এমন সিদ্ধান্ত, জানতে চাইলে সিনেমার সৃজনশীল পরিচালক জুয়েল মাহমুদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা চেয়েছি সিনেমাটি দর্শকদের দেখাতে। সাধারণ মানুষ শুধু না, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সামাজিক-রাজতৈনিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর কর্মীরা সবাই দেখুক সিনেমাটি। আর সেটি করার জন্য আমরা সারা দেশে সিনেমাটি মুক্তি না দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মুক্তি দিচ্ছি।’
জুয়েল আরও বলেন, ‘যখন সিনেমাটি মুক্তি দিতে চাইলাম এবং ডিস্ট্রিবিউটরের সঙ্গে কথা বললাম, দেখলাম ২২টি সিনেমা হল পাই। কিন্তু এটা দিয়ে তো হবে না। তাই আমরা এভাবে পরিকল্পনা করেছি।’
প্রথমেই বগুড়ায় কেন মুক্তি দেয়া হলো, জানতে চাইলে জুয়েল বলেন, ‘আমরা যে সাপোর্টটা চেয়েছিলাম, সেটা বগুড়া থেকে পেয়েছি। তাই এখানে মুক্তি। পরের দুটি জায়গায় কথা হচ্ছে, চূড়ান্ত হলে জানাব।’
জুয়েল জানান, এরই মধ্যে মধুবন সিনেপ্লেক্সের এক সপ্তাহের অধিকাংশ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে।
মুক্তি উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুড়া শহরে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বগুড়া জেলা যুবলীগের আয়োজনে শহরের সাতমাথা থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন আহমেদ রুবেল, পূর্ণিমাসহ বগুড়াবাসী। সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর চরিত্রে আহমেদ রুবেল ও বঙ্গমাতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন পূর্ণিমা। শোভাযাত্রায় বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে শহরের সাতমাথায় মুজিব মঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।