বাংলাদেশের মহান বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির ৪০ বছর পূর্তিতে নানা আয়োজনে এফডিসিতে হচ্ছে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।
বুধবার দুপুরে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
প্রথমেই এফডিসিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মন্ত্রী। পরে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সামনে সমিতির পতাকা উত্তোলন ও স্থিরচিত্র প্রদর্শন উদ্বোধন করেন। এরপর বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে এবং কেক কেটে এই আয়োজনের উদ্বোধন করেন তিনি।
পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রী আমাদের আয়োজনে এসেছেন, আমরা গর্বিত।'
সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রীকে উত্তরীয় এবং ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির ৪০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে সব পরিচালককে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। পরিচালকদের হাত ধরে বহু কালজয়ী চলচ্চিত্র বাংলাদেশে নির্মিত হয়েছে, যে চলচ্চিত্রগুলো আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে অনন্য ভূমিকা রেখেছে।
‘চলচ্চিত্র শুধু জীবনের কথা সমাজের কথা বলে তা নয়, চলচ্চিত্র সমসাময়িক কালকে সংরক্ষণ করে। আমি জানি অনেক খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রশিল্প অতিক্রম করছে, কিন্তু ইতিমধ্যে চলচ্চিত্রশিল্পে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। বঙ্গবন্ধুর হাতে চলচ্চিত্রশিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছিল আমাদের এই জনপদে। সেই চলচ্চিত্রশিল্প এখন বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে আবার ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন যে সিনেমা হল বানানোর জন্য এক হাজার কোটি টাকার একটি তহবিল গঠন করা হয়েছে, যেখান থেকে সিনেমা হল এবং সিনেপ্লেক্স নির্মাণের জন্য স্বল্প সুদে দীর্ঘ মেয়াদের জন্য ঋণসুবিধা নেয়া যাবে এবং এর সর্বোচ্চ পরিমাণ ১০ কোটি টাকা। এমনকি মার্কেটসহ সিনেমা হল বানালেও এ সুবিধা পাওয়া যাবে।’
বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। ছবি: নিউজবাংলা
প্রত্যাশার কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যারা পরিচালক আছেন, তারা মধ্যবিত্ত, সাধারণ, নিম্ন মধ্যবিত্তরা যেন সিনেমা দেখতে পারেন, যেন দর্শকরা প্রেক্ষাগৃহে ব্যাপকভাবে ফিরে আসে সে জন্য জীবনধর্মী চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন এবং পরিবার পরিজন সবাই মিলে বসে যেন সিনেমা দেখতে পারেন।
‘এমন কিছু চলচ্চিত্র নির্মাণ করুন যা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেবে, সমাজে মানবিকতার উন্মেষ ঘটবে, মানুষের মানবিক বিকশিত হয়, মমত্ববোধ জাগে, দেশাত্মবোধ যেন জাগে। সেই ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণ করে দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রশিল্প অবদান রাখবে এটি আজকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আমার প্রত্যাশা।’
এরপর তথ্যমন্ত্রী এবং সমিতির সদস্যরা মিলে র্যালিতে অংশ নেন। বিকেলে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।