সোমবার শুটিংয়ে ফিরেছেন অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। স্বামীসহ ওমরাহ করতে গিয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। সে সময় একটি ফোন রেকর্ড ফাঁস হলে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয় তুমুল আলোচনা।
সৌদি আরব থেকেই সে সময় ভিডিও বার্তা দিয়েছিলেন মাহি।
দেশে ফিরে কাগজের বউ নামের একটি প্রোজেক্ট ছেড়ে দিলে অনেকেই ভাবতে থাকেন মাহি কি তাহলে অভিনয় ছেড়ে দেবেন?
এমন নানা বিষয় নিয়ে মাহি কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
অনেকেই বলছেন আপনি অভিনয় ছেড়ে দেবেন, সত্যি কি?
আমি কিন্তু কোথাও এমন স্টেটমেন্ট দেই নাই। আমি ওমরাতে যাচ্ছি, এ ব্যাপারটি আমি কাউকে জানাতে চাইনি, এটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। আমি আসলে আমার ডিরেক্টর-প্রোডিউসারকে জানানোর জন্য ফেসবুকে দিয়েছিলাম।
পরে তো দেখলাম সংবাদ হচ্ছে, মাহি সিনেমা ছেড়ে দিচ্ছেন, সিনেমা থেকে বিদায় নিচ্ছেন। প্রযোজকরা এটা নিয়ে চিন্তিত হয়েছেন, কারণ আরও অনেকের সঙ্গেই কাজ আছে তো আমার।
অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। ছবি: সংগৃহীত
অনেকে বলছেন আপনি হুট করে না, ধীরে ধীরে কাজ ছাড়বেন।
বিষয়টা হচ্ছে আমি একটু বেছে কাজ করব, কারণ ওমরাহ করেছি, হয় না একটা ফিল কাজ করে, একটা ডিফরেন্ট ফিল কাজ করে। আমার মনে হয় যে ছাম্মাক ছাল্লো কাজগুলো অ্যাভয়েড করে বেছে কাজ করতে চাই। এখন এ উপলব্ধিটা হচ্ছে।
আর আমার সিনেমা যদি ব্যবসাসফল না হয়, আস্তে আস্তে আমাকে এমনি সবাই বাদ দিয়ে দেবে।
আপনি ওমরাহতে থাকার সময় একটি ফোন কল ফাঁস হওয়া নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়, বিষয়টি নিয়ে আপনার কোনো প্রতিক্রিয়া আছে?
যেটা চলে গেছে তো চলে গেছে, সেটা নিয়ে কোনো কথা বলতে চাই না।
আপনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। সেটার প্রক্রিয়া শুরু করেছেন কি?
না, আমি কোনো উদ্যোগ নেই নাই।
অভিনেত্রী মাহিয়া মাহি। ছবি: সংগৃহীত
সাংবাদিকদের মাধ্যমে কোনো কথা বলে আপনি কারও দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান?
ওই সময়টায়, বিশেষ করে ওই সময়টায় ভেতরের ফিলিংস ছিল, আমার মনে হয়েছে আমি বলব, কারণ এমন অনেক কথা আছে, যেমন ধরেন, হয় না, যে, যেমন ও ওই সেই যে বিষয়টা, ওই একটা মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কারও কাছে বিচার দিতে পারি নাই এবং বিচার দেয়ার মতো আসলে আমার মনে হয়েছে কেউ নাই, কাকে বলব। সেই সময়টা তো আমি পার করেছি। আপনি আপনার জায়গা থেকে অনেক কথা বলতে পারবেন, কিন্তু ওই সময়টা… (অসম্পূর্ণ)
বিষয়টা নিয়ে কথা বলতে চাই না, তারপরও একটা লাইন বলি, সেটা হচ্ছে, একটা সুস্থ মানুষের সঙ্গে রিয়্যাক্ট করা যায়, একটা মানুষ যখন সেন্সে থাকবে না, যখন সে ড্রিঙ্ক করা থাকবে, তার সঙ্গে কথা বাড়ানোটাই বোকামি এবং সেটা কী বলব…
এ রকম এক দিনই তো আসলে আমার কাছে ফোন আসেনি, এ রকম এর আগেও এসেছে। বিষয়টা নিয়ে আসলে এমন না যে কারও সঙ্গে শেয়ারও করিনি। এমন অনেকের সঙ্গে শেয়ার করেছি, কিন্তু মনে হয়েছে যে সবাই একটা ভীতিকর পরিস্থিতিতে ছিল।
আপনি এমন কোনো বিষয়ে কখনোই মুখ খোলেননি। এটা কি ভয় থেকে?
এটা বলা যাবে না তা না, আমি বলতে পারি। তখন যদি ফেসবুকে একটা স্ট্যাটাস দিতাম, একটা লাইভে আসতাম, অনেকভাবে প্রতিবাদ করতে পারতাম, কিন্তু আমার ফ্যামিলি আছে। আমার পেছনে অনেক মানুষ আছে, আমি কোনো স্টেপ নিলে তারা বিব্রত হবে।
কিছু জিনিস যদি আমি হ্যান্ডেল করতে পারি, সেটা যদি আমার মতো করে পাশ কাটিয়ে যেতে পারি, তাহলে পরিবারের মানুষজন বিব্রত হবে না।
ফ্যামিলিরও সে সময় আপনাকে সাপোর্ট দেয়া উচিত বলে মনে করি।
ফ্যামিলি যে রকম সাপোর্ট দেবে, তাদের কথাও তো আমার চিন্তা করতে হবে। আমি যে খুব অন্যায় কিছু করেছি, ভুল কিছু করেছি এ রকম না, কিন্তু অবশ্যই এই সিচুয়েশনটা শেয়ার করেছি এবং আমার মনে হয়েছে আস্তে করে পাশ কাটিয়ে যাওয়া উচিত।
এ রকম অনেক ফোন আসবে আমাদের কাছে, অনেক কিছুই আসবে, পাশ কাটিয়ে যে রকম আমার মনে হয়েছে আমি সে রকমটা করেছি।
সেই সময়ে প্রধানমন্ত্রীর এ রকম একটা স্টেপ আমার ভালো লেগেছে। আমার কাছে মনে হয়েছে তার সঙ্গে একটু দেখা করতে পারলে ভালো লাগত।
আগামীর পরিকল্পনা কী?
এখন শামীম আহমেদ রনি ভাইয়ের বুবুজান সিনেমার কাজ করছি। পরে রনি ভাইয়ের আরেকটা কাজ আছে। কিছু প্যাচওয়ার্ক আছে। নতুন প্রজেক্ট জাকির হোসেন রাজু স্যারের সঙ্গে। ওটার ডেট ঠিক হয়নি।
আর আমরা জানুয়ারির শেষদিকে বা ফেব্রুয়ারির শুরুর দিকে দেশের বাইরে যাওয়ার পরিকল্পনা করছি মাস তিনেকের জন্য।
বুবুজান সিনেমায় মাহিয়া মাহি। ছবি: সংগৃহীত
বুবুজান সিনেমা নিয়ে একটু কথা বলি। সিনেমায় তো আপনি বুবুজান। নায়িকা থেকে বুবু হয়ে গেলেন! ভালো অনুভব করছেন?
এইখান থেকে আমাদের বের হওয়া উচিত। বুবুজান হচ্ছে এখানকার কেন্দ্রীয় চরিত্র। আমি অভিনেত্রী, আমি নানা রকম চরিত্রে অভিনয় করতে চাই, আর সেটা যদি হয় কেন্দ্রীয় চরিত্র, তাহলে তো আর সমস্যা নাই।