অ্যাভেঞ্জার্স: ইনফিনিটি ওয়ার বা অ্যাভেঞ্জার্স: এন্ড গেম সিনেমা দুটি মুক্তি পায় ২০১৮ ও ২০১৯ সালে। সাড়া বিশ্বেই শুধু নয় বাংলাদেশের দর্শকরাও তুমুল আগ্রহ নিয়ে দেখেছে সিনেমা দুটি।
এর পর শুরু হয় করোনা। বন্ধ ছিল সিনেমা হল। প্রেক্ষাগৃহ খুললেও দর্শকদের হুমড়ি খেয়ে পরার মতো অবস্থা তৈরি হয়নি এতদিনে।
সেই অপেক্ষা ঘুচল। স্পাইডারম্যান: নো ওয়ে হোম সিনেমাটি দর্শকদের মধ্যে তুমুল আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। প্রচণ্ড চাপ পরেছে রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে।
আধুনিক প্রেক্ষাগৃহটির জ্যেষ্ঠ বিপণন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন আহেমদ জানান, অ্যাভেঞ্জার্সের সময় যেরকম সাড়া পেয়েছিলাম স্পাইডার ম্যান: নো ওয়ে হোম সিনেমায় সেরকম সাড়া পাচ্ছেন তারা।
তিনি বলেন, ‘অনেকদিন আমাদের হলে এমন উপচে পড়া ভিড় ছিল না। স্পাইডার ম্যান সিনেমাটি নিয়ে দর্শকেদের তুমুল আগ্রহ আছে এবং দর্শকদের প্রচণ্ড চাপ আছে।’
স্পাইডার ম্যান: নো ওয়ে হোম সিনেমার টিকিটের প্রি-বুকিং অফার দিয়েছিল সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ। সেই অফারটি নিতে এত মানুষ সাইটে ঢুকেছিল যে সাইটটি ডাউন হয়ে যায় বলে জানান মেসবাহ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় শুক্রবারের টিকেট বৃহস্পতিাবর দুপুরের মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
এক তরুণ দর্শক অগ্রীম টিকেট কিনতে এসেছিলেন তার মায়ের সঙ্গে। শুক্রবার সিনেমাটির থ্রি ডি টিকেট না পেয়ে শনিবার টু ডি তেই দেখতে চাইছে সেই তরুণ দর্শক। মা তার সন্তানকে বললেন যে, ‘তুমি পরে থ্রি ডি তে দেখ।’
ছেলে বলে, ‘না, আমার আগেই দেখতে হবে কারণ আমার বন্ধুরা সিনেমাটি দেখে ফেলবে শুক্রবার। ওরা দেখে আমাকে ঘটনা বলে দেবে। তাই আমার দ্রুতই দেখতে হবে সিনেমাটা।’
চাপ সামলাতে রাজধানীর চারটি শাখায় প্রত্যেক দিন ২৬টি করে শো চালাচ্ছে স্টার সিনেপ্লেক্স। যার মধ্যে বসুন্ধরা সিটিতে ১১টি, সীমান্ত সম্ভারে শুক্রবার ৬ ও শনিবার থেকে ৭টি, মহাখালীতে ৩টি শো এবং মিরপুরে ৫টি করে শো চলছে।