দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবশেষে শুক্রবার মুক্তি পাচ্ছে নূরুল আলম আতিক পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধের গল্পের চলচ্চিত্র লাল মোরগের ঝুঁটি ।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ভবন মিলনায়তনে হলো সিনেমাটির উদ্বোধনী প্রদর্শনী।
এই প্রদর্শনীতে সিনেমার শিল্পী-কলাকুশলীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক।
প্রদর্শনী শেষে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মন্ত্রী সবাইকে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমাটি দেখার আহবান জানান। একই সঙ্গে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে এমন একটি সিনেমার জন্য নির্মাতা, শিল্পী-কলাকুশলী সবাইকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সিনেমার প্রদর্শনী শেষে শিল্পী-কলাকুশলীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক। ছবি: নিউজবাংলা
দর্শকদের সিনেমাটি দেখার আহবান জানিয়ে নির্মাতা নূরুল আলম আতিক বলেন, ‘লাল মোরগের ঝুঁটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সিনেমার প্রথাগত বয়ানের বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।’
সাদাকালো এ সিনেমাটির গল্পের প্রেক্ষাপট ১৯৭১ সাল। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সৈয়দপুর রেলস্টশন ও তার আশেপাশের একালা থেকে প্রায় তিন হাজার নিরীহ বাঙালিকে বন্দি করে নিয়ে আসে বিমানবন্দর সংলগ্ন স্কুলঘরে। স্কুলঘরটা তখন তাদের বন্দিশিবির। এ কাজে তাদের প্রধান সহযোগী ছিল স্থানীয় বিহারিরা। বিমানবন্দর মেরামতের কাজে লাগানো হয় তাদের। দিন রাত পরিশ্রমে অভুক্ত-অর্ধভুক্ত মানুষগুলো অসুস্থ হতে থাকে। যারা অসুস্থ হচ্ছিল তাদের নিশ্চিত ঠিকানা পরপার। পাকিস্তানি সৈন্যরা এমন ৩ শতাধিক বন্দী বাঙালি তুমি কে নিশংস ভাবে হত্যা করে।
‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সিনেমার অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা (বাঁয়ে) নির্মাতা নূরুল আলম আতিক (মাঝে) ও অভিনেত্রী দিলরুবা দোয়েল (ডানে)। ছবি: নিউজবাংলা
২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারের চলচ্চিত্র অনুদান পেয়েছিল সিনেমাটি। ২০১৬ সালে শুটিং শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের গল্পের এ সিনেমাটি। তবে ২০২০ সালের নভেম্বরে শেষ হয় শুটিং।
পাণ্ডুলিপি কারখানার ব্যানারে নির্মিত এ সিনেমাটি ৭টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত সম্ভার, সনি, মিরপুর, মহাখালীর এসকেএস, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার এবং নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপে দেখা যাবে সিনেমাটি।
‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সিনেমার উদ্বোধনী প্রদর্শনী শেষে শিল্পী-কলাকুশলীরা। ছবি: নিউজবাংলা
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন লায়লা হাসান, আহমেদ রুবেল, আশনা হাবিব ভাবনা, অশোক ব্যাপারী, আশীষ খন্দকার, জয়রাজ, ইলোরা গওহর, জ্যোতিকা জ্যোতি, দিলরুবা দোয়েল, স্বাগতা, শাহজাহান সম্রাট, খলিলুর রহমান কাদেরীসহ কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল এবং গৌরিপুর এলাকার সাধারণ মানুষ।
সবশেষ ২০১০ মুক্তি পেয়েছিল নির্মাতা আতিকের সাড়া জাগানো সিনেমা ডুব সাঁতার।