ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের পোকা ছিলেন টনি ডায়েস। তবে শুরুটা আবৃত্তি সংগঠন ও বেতারে কাজ দিয়ে। ১৯৮৯ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। সেখানে টানা পাঁচ বছর কাজ করার সুযোগ পাননি। তবে এ নিয়ে আক্ষেপ ছিল না তার।
মূল অভিনয়শিল্পীদের প্রম্পটার হিসেবে কাজ করে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে অডিশন দেয়ার সুযোগ পান।
টনি ডায়েস জানান, তার কর্মজীবনের প্রথম সম্মানী ছিল ৫০ টাকা। বাংলাদেশ বেতার থেকে পাওয়া এ সম্মানী ছিল ওই সময়ের জন্য বিশেষ কিছু। অভিনয়কে ভীষণভাবে মিস করেন টনি ডায়েস।
দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন টনি ডায়েস। আমেরিকান হোন্ডা কোম্পানীর গুরুত্বপূর্ণ পদে কাজ করছেন তিনি। টনির স্ত্রী পিয়া ডায়েস, তাদের একমাত্র মেয়ে ও তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও থাকেন সেখানে। সম্প্রতি ঝটিকা সফরে দেশে এসেছেন এ অভিনেতা।
দেশে এসে অংশ নিয়েছেন ‘রাঙা সকাল’ নামের একটি টিভি অনুষ্ঠানে। সেখানে তিনি কথা বলেছেন জীবনের নানা বিষয় নিয়ে। মাছরাঙা টিভিতে বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে ২৫ ডিসেম্বর, সকাল ৭টায়।
সেখানে তিনি জানান, মনের মত পান্ডুলিপি ও চরিত্র পেলে ১০-১৫ দিনের জন্য বাংলাদেশে এসে যে কোনো সময় কাজ করতে তিনি প্রস্তুত।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী (রোমান ক্যাথলিক) টনি ডায়েস। অন্য ধর্মের প্রতিও রয়েছে তার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। দূর্গাপূজায় পূজা দেখা বা ঈদের দিন মুসলিম বন্ধুদের সাথে কোলাকুলি করা তার অন্যতম ভালো লাগার বিষয়। ঈদে দুধ-সেমাই না খেলে পুরো বছরের আনন্দই তার অপূর্ণ মনে হয়।
শুধু তাই নয়, এসএসসি’তে ধর্ম বিষয়ে ইসলামিয়াত নিয়ে পড়াশোনা করে পূর্ণমান ১০০ তে ৯৮-ও পেয়েছিলেন বলে অনুষ্ঠানে জানান তিনি।
এ সময়ের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে টনি ডায়েসের বিশেষ প্রিয় আফরান নিশো, জোভান, মেহজাবীন চৌধুরী, তানজিন তিশা ও শবনম ফারিয়া।