‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাচ্ছে ১০ ডিসেম্বর শুক্রবার। স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে নূরুল আলম আতিক পরিচালিত সিনেমাটি প্রথম সপ্তাহে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ছয়টি হলে মুক্তি পাচ্ছে।
সিনেপ্লেক্সের বসুন্ধরা সিটি, সীমান্ত সম্ভার, সনি, মিরপুর, মহাখালীর এসকেএস, যমুনা ফিউচার পার্কের ব্লকবাস্টার এবং নারায়ণগঞ্জের সিনেস্কোপে দেখা যাবে সিনেমাটি।
নূরুল আলম আতিক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে গত অর্ধশতকে নির্মিত কাহিনিচিত্র আশানুরূপ না হলেও কম নয়। তবে আমাদের অভিজ্ঞতায় মুক্তিযুদ্ধের সিনেমা মানেই কিছু গৎবাঁধা দৃশ্যের বিস্তার। প্রায় সব ছবির প্রোটাগনিস্ট-এন্টাগনিস্টদের চেহারা-সুরত, হাবভাব, আচার-আচরণ, লক্ষ্য-উদ্দেশ্য একই রকম।
‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ আমাদের মুক্তিযুদ্ধের সিনেমার প্রথাগত বয়ানের বাইরে যাওয়র চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে সিনেমার মুখ্য চরিত্র হিসেবে নিম্নবর্গের হাজিরা; তাদের তৎকালীন আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও একান্ত ব্যক্তিগত অবস্থা-অবস্থান, এসব সূত্রাতিসূত্র এ সিনেমার মৌলিকত্ব বলে মনে করি।
‘মোরগ লড়াইয়ের এক উত্তেজনাকর দৃশ্যে সিনেমার শুরু; বাঘা নামে এক লাল মোরগের গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে আবির্ভাব ও বিকাশ; ক্লাইমেক্সে নতুন সূর্যের আগমনী হিসেবে তার ভূমিকা; আর তার অন্তিম ডাকে সিনেমার পরিণতি, যে ডাক আমাদের সজাগ করে, সজাগ রাখে।’
পাণ্ডুলিপি কারখানা প্রযোজিত ছবিটি ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারি অনুদান পায়। ২০১৬ সালে শুটিং শুরু হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের গল্পের এই সিনেমা।
এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন লায়লা হাসান, আহমেদ রুবেল, আশনা হাবিব ভাবনা, অশোক বেপারী, আশীষ খন্দকার, জয়রাজ, শিল্পী সরকার, ইলোরা গওহর, জ্যোতিকা জ্যোতি, দিলরুবা দোয়েল, স্বাগতাসহ কুষ্টিয়া, টাঙ্গাইল এবং গৌরীপুর এলাকার সাধারণ মানুষ।
ছবিটির প্রযোজক হিসেবে আছেন মাতিয়া বানু শুকু; চিত্রগ্রহণে সুমন সরকার, কাশেফ শাহবাজী ও মাজাহারুল ইসলাম; সম্পাদনা সামির আহমেদ; শব্দে সুকান্ত মজুমদার, সংগীতে আছেন রাশিদ শরীফ শোয়েব; শিল্প নির্দেশনায় লিটন কর ও ওয়াদুদ রেইনি; পোশাক পরিকল্পনায় শারমিন নাহার লাকী, আফরোজা ও মৃন্ময়ী সরকার; রূপসজ্জায় মো. ফারুক ও ফরহাদ রেজা মিলন।