সার্টিফিকেশন ছাড়া চলচ্চিত্র প্রদর্শন করলে অনধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন আইন ২০২১-এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা।
সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘এতদিন আমাদের সিনেমাগুলোর অনুমোদন দেয়া হতো সেন্সরশিপ ফিল্ম অ্যাক্টের মাধ্যমে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এটি মডিফিকেশন করেছিল আইনটি আসলে সেন্সরশিপ আইন থাকা ঠিক হবে না, সার্টিফিকেশন আইন হওয়া উচিত। তারই একটা পার্ট থাকবে সেন্সর।
‘শুধু সেন্সর থাকলে এখানে নানা রকম অসুবিধা হয়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে এখন সার্টিফিকেশন আইন। এ জন্য একটি সংশোধন আনা হয়েছিল। এতে খুব বেশি পরিবর্তন হয়নি। আগের যে আইন সেটির সঙ্গে কিছু বিষয় যোগ করে আইনটি নিয়ে আনা হয়েছে। আগের মতোই একজন চেয়ারম্যান থাকবেন, সঙ্গে ১৪ জনের মতো বোর্ড মেম্বার থাকবেন। টোটাল ১৫ জনের বোর্ড থাকবে, যারা সার্টিফিকেট দেবে।’
খন্দকার আনোয়ারুল জানান, চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশনের ক্ষেত্রে শ্রেণি বিন্যাস ও মূল্যায়ন পদ্ধতি আরেকটি করা হবে। সেটি বিধি দিয়ে নির্ধারণ করা হবে। একটা আপিল বোর্ড থাকবে, কেবিনেট সেক্রেটারি এটার সভাপতি আগের মতোই।
তিনি বলেন, যদি কোনো ব্যক্তি সার্টিফিকেশন ছাড়া কোনো চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন, তাহলে এ অপরাধের জন্য পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ড দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। কোনো ব্যক্তি যদি সার্টিফিকেট পাওয়ার পর কোনো টেম্পারিং করেন, অনেক সময় যে দৃশ্যগুলো সেন্সর বা সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত না, সেগুলো যোগ করা হলে দুই বছরের কারাদণ্ড বা ২ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।’