বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

গানই তার পরিচয়

  •    
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ০৯:২৪

গান গেয়েই বাংলাদেশের রুনা লায়লা পেয়েছেন ভারত, পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের অসংখ্য মানুষের ভালোবাসা।

সংগীতশিল্পী নয়, তার হওয়ার কথা ছিল নৃত্যশিল্পী। টানা চার বছর করাচির বুলবুল ললিতকলা অ্যাকাডেমির ভরতনাট্যম, কত্থক, কত্থকলি শেখেন তিনি। তবে শেষ পর্যন্ত গানের মাঝেই থেকে যান এবং ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন রুনা লায়লা।

রুনা লায়লা তার ৫৭ বছরের বর্ণাঢ্য সংগীত ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ১২ বছরের এক কিশোরের জন্য গান গেয়ে।

১৯৬৪ সালে বাবা সৈয়দ মোহাম্মদ এমদাদ আলীর অনুমতি নিয়ে সাড়ে ১১ বছর বয়সে পাকিস্তানের জুগনু সিনেমায় প্রথম প্লেব্যাক করেন রুনা লায়লা।

‘গুড়িয়াসি মুন্নী মেরি ভাইয়া কি পেয়ারি’ গানটি কণ্ঠে তোলার জন্য একটানা দুই মাস প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন তিনি।

গান গেয়েই বাংলাদেশের রুনা লায়লা ভারত, পাকিস্তানসহ উপমহাদেশের কোটি মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন।

নব্বইয়ের দশকে মুম্বাইয়ে পাকিস্তানি সুরকার নিসার বাজমির সুরে এক দিনে ১০টি করে তিন দিনে ৩০টি গানে কণ্ঠ দিয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসেও নাম লিখিয়েছিলেন তিনি।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সোনালি যুগের খুব কম নায়িকাই আছেন, যারা এ জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার গাওয়া গানে ঠোঁট মেলাননি।

মা আনিতা সেন ওরফে আমেনা লায়লা ছিলেন সংগীতশিল্পী। তার মামা সুবীর সেন ভারতের বিখ্যাত সংগীতশিল্পী। তার যখন আড়াই বছর বয়স তার বাবা রাজশাহী থেকে বদলি হয়ে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের মুলতানে যান। সে সূত্রে তার শৈশব কাটে পাকিস্তানের লাহোরে, তার বাবার বাড়ি রাজশাহীতে।

১৯৭৪ সালে তিনি কলকাতায় ‘সাধের লাউ’ গানের রেকর্ড করেন। এক সে বাড়কার এক সিনেমার গানের রেকর্ডিংয়ের সময় প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী লতা মুঙ্গেশকর তাকে আশীর্বাদ করেন। তিনি ‘ও মেরা বাবু চেল চাবিলা’ ও ‘দামা দম মাস্ত কালান্দার’ গান গেয়ে ভারতজুড়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

১৭টি ভাষায় ১০ হাজারেরও বেশি গান করেছেন রুনা লায়লা।

১৯৯৯ সালে তিনি অভিনেতা আলমগীরের সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার এক কন্যা তানি লায়লা আর দুই নাতি জাইন এবং অ্যারন।

শ্রেষ্ঠ কণ্ঠশিল্পী হিসেবে ৭ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার আর ২০১৮ সালে পান শ্রেষ্ঠ সুরকারের পুরস্কার।

দেশীয় সংগীতের জীবন্ত কিংবদন্তি রুনা লায়লা ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন। বুধবার তার ৬৯তম জন্মদিন। শুভ জন্মদিন।

এ বিভাগের আরো খবর