বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভারত নিষেধাজ্ঞা তোলায় উচ্ছ্বসিত ফেরদৌস

  •    
  • ৬ নভেম্বর, ২০২১ ১৫:৪৮

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো শর্ত দিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাব ফেরদৌস বলেন, ‘না, কোনো শর্ত নেই, কিন্তু আমার নিজের কাছে নিজের শর্ত আছে। সেটা হলো, সজ্ঞানে যেন অন্য কোনো দেশের পলিটিক্যাল ইস্যুতে জড়িত না হই।’

ঢাকা-কলকাতা দুই বাংলার চলচ্চিত্রেই সমানতালে জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ফেরদৌস। অভিনয়জীবনের শুরু থেকেই কলকাতার সিনেমাতে কাজ করছেন তিনি।

তবে ২০১৯ সালের এপ্রিলে ভারতের লোকসভা নির্বাচনি প্রচারণায় যোগ দেয়ার অপরাধে সে দেশে প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার।

দীর্ঘ আড়াই বছর পর সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত সরকার। নতুন করে তাকে ভিসাও দিয়েছে।

এসব নিয়েই শনিবার দুপুরে নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপ করেন ফেরদৌস।

দীর্ঘ নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে উচ্ছ্বসিত ফেরদৌস বলেন, ‘গত সপ্তাহেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। ইতোমধ্যে আমাকে নতুন ভিসাও দিয়ে দিয়েছে।’

নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে কোনো শর্ত দিয়েছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাব ফেরদৌস বলেন, ‘না, কোনো শর্ত নেই, কিন্তু আমার নিজের কাছে নিজের শর্ত আছে। সেটা হলো, সজ্ঞানে যেন অন্য কোনো দেশের পলিটিক্যাল ইস্যুতে জড়িত না হই।’

এ ব্যাপারে আপনাকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, ভক্তরা আপনার কাছে এটা হয়তো আশা করেননি, তাদের উদ্দেশে কী বলবেন?

এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি তো নিজেই এটা আশা করিনি, এটা খুবই অপ্রত্যাশিত একটা ঘটনা, অপ্রত্যাশিত একটা ব্যাপার। আমি জানতামও না। তারপরও যেহেতু ঘটনা ঘটেছে গেছে, দায়ভার আমি নিয়েছি। আমি দুঃখ প্রকাশ করেছি, ক্ষমা চেয়েছি। সেটার জন্য আমি যথেষ্ট শাস্তিও পেয়েছি।

‘আমার যে ভক্তরা, নিঃস্বার্থভাবে আমাকে যারা ভালোবাসেন, তারা যে আহত হয়েছেন, সে জন্য আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তাদের জ্ঞাতার্থে বলছি যে, এ রকম কিছু হয়তো ভবিষ্যতে আমি অবশ্যই জ্ঞানত করব না। আমি যখন ওখানে কাজ করি (কলকাতা), তখন আমি বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করি। আমি কখনোই চাই না আমার জন্য আমার দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক।’

এমন ভুল যাতে পরবর্তী সময়ে আর কেউ না করেন সেই পরামর্শ দিয়ে এ চিত্রনায়ক বলেন, ‘ফেরদৌস মানেই দুই বাংলার নায়ক। এই ট্যাগলাইন নিয়ে অনেকেই ওখানে কাজ করছেন। আমার পরে যারা ওখানে কাজ করছেন, আমি তাদের উদ্দেশে বলব তারাও যেন এ রকম ভুল না করেন। অন্তত আমার এই ভুল থেকে তারা যেন শিক্ষা নেন। মানুষ তো একটা ভুল করেই শিক্ষা হয়, আমার হয়েছে, সেটা অন্য কারো হোক আমি চাই না।’

দুই দেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে ফেরদৌস বলেন, ‘দুই দেশই আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট করেছে। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে যথেষ্ট সাপোর্ট করেছেন পুরো ব্যাপারে।’

নিষেধাজ্ঞা তো তুলে নিল, ওপার বাংলার নতুন কোনো কাজে যুক্ত হলেন কি না, জানতে চাইলে ফেরদৌস বলেন, ‘কথাবার্তা তো অনেকগুলোর ছিল, আগের অনেকগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। এই জটিলতায় আমার সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়ে গেলে বঙ্গবন্ধুর বায়োপিকে অভিনয় করতে না পারা। এই আফসোসটা রয়ে যাবে আজীবন।

‘আরও বেশ কিছু ছবি তো বন্ধ হয়ে গেছে। এখন তো নতুন করে কথা শুরু হচ্ছে। ইতোমধ্যে ফোন আসা শুরু করেছে। মাত্র তো এই জটিলতা শেষ হলো। আশা করছি ভালো কিছু দিয়েই শুরু হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর